Headless Chicken: বিশ্বের একমাত্র মুরগি, যে কাটা মাথায় বেঁচেছিল ১৮ মাস! টিকিট কেটে দেখত লোকে | Story about Mike the Headless Chicken
শ্বেতা মিত্রঃ কোনও মানুষ কিংবা জন্তু যার মাথা কেটে দেওয়া হয় সেকি বেশিক্ষণ বেঁচে থাকতে পারবে? আপনার উত্তরও নিশ্চয়ই না হবে। কিন্তু আপনি কি জানেন যে একটি মুরগি মাথাহীন অবস্থায় টানা ১৮ মাস বেঁচেছিল? হ্যাঁ একদম ঠিক শুনেছেন আপনি। আজ থেকে আনুমানিক প্রায় ৭৪ বছর আগে এমনই এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছিল আমেরিকায়। সেইসময় ভাইরাল হয়েছিল মাথা ছাড়া এক মুরগি, যাকে দেখে কিনা স্বাভাবিকভাবেই চমকে উঠেছিলেন বিশ্বের মানুষ। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক এই বিস্ময়কর কীর্তির গল্প…
দিনটা ছিল ১৯৪৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর, লয়েড ওলসেন এবং তার স্ত্রী ক্লারা, কলোরাডোর ফ্রুটায় বসবাসকারী কৃষক, তাদের খামারে মুরগি জবাই করছিলেন। এই সময়ে, লয়েড মাইক নামে সাড়ে পাঁচ মাস বয়সী একটি মুরগির মাথা কাটেন। তবে আশ্চর্যের বিষয় ছিল, মাইক কিন্তু মারা যায়নি। বরং সে মাথা ছাড়াই দৌড়াতে থাকে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা অবাক হয়েছিলেন ওলসেন।
এরপর দম্পত্তি তারা শিরশ্ছেদ করা মুরগিটিকে একটি বাক্সে তালাবদ্ধ করে রেখেছিল। এরপরে আরও এক অবাক করা ঘটনা ঘটে। দম্পতি পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেন যে মাইক নামের মুরগিটি তখনো বেঁচে আছে।
স্বাভাবিকভাবেই মাথাবিহীন মুরগির জীবিত থাকার খবর ধীরে ধীরে আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়ে ফ্রুটাসহ আমেরিকার বিভিন্ন শহরে। বলা হয়, সল্টলেক সিটিতে অবস্থিত উটাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা অনেক মুরগির মাথা কেটে এটা জানতে চেয়েছিলেন যে সত্যিই কি মুরগি মাথা ছাড়া বাঁচতে পারে? কিন্তু কোনো মুরগির ক্ষেত্রে তাঁরা সাফল্য পান না। যারফলে ওই মাথাহীন মুরগির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘মিরাকল মাইক’।
মাইক ১৯৪৭ সালের মার্চ মাসে মারা যায়। তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে উঠে আসে, যে লয়েড ওলসেন তাকে রস দেওয়ার পরে সিরিঞ্জ দিয়ে তার খাদ্যনালী পরিষ্কার করেননি। যার জেরে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় মাইকের।
জানা যায়, ‘মিরাকল মাইক’-এর খ্যাতি এতটাই বেশি ছিল যে লয়েড ওলসেন এটি দেখার জন্য একটি টিকিটও রেখেছিলেন। সে সময় মাইককে দেখতে আসা দর্শকদের কাছ থেকে মাসে ৪৫০০ ডলার আয় করতেন তিনি। আজকের হিসাব অনুযায়ী এই ৪৫০০ ডলার প্রায় তিন লাখ ২০ হাজার টাকার সমান।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, এতদিন কীভাবে বেঁচেছিল মাইক? এক রিপোর্ট অনুযায়ী, নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর বিহেভিয়ার অ্যান্ড ইভোলিউশনের মুরগি বিশেষজ্ঞ ড. টম স্মুলডার্স জানিয়েছেন, মুরগির পুরো মাথাটি তার চোখের কঙ্কালের পেছনের একটি ছোট অংশে অবস্থিত। রিপোর্ট অনুসারে, মাইকের চোখ, মুখ এবং চোখ চলে গিয়েছিল, তবে স্মুলডার্স অনুমান করেছিলেন যে মাইকের মস্তিষ্কের ৮০ শতাংশ অবশিষ্ট ছিল, যা মাইকের শরীর, হৃদস্পন্দন, শ্বাস, ক্ষুধা এবং পাচনতন্ত্রকে সচল রেখেছিল।
প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: প্রতিটা মন্দিরেই বিগ্রহের পাশাপাশি মন্দিরে মন্দিরে প্রণামী বাক্স থাকে। কিন্তু দর্শনার্থী, ভক্তেরা…
আপনি যদি জিও ব্যবহারকারী হন এবং একটি সাশ্রয়ী মূল্যের পরিকল্পনার সন্ধানে থাকেন, তাহলে একটি দুর্দান্ত…
সৌভিক মুখার্জী, কলকাতাঃ আপনি কি কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীতে যোগ দিতে চান? তাহলে আপনার জন্য…
ভারতে এবার উচ্চগতির ইন্টারনেট পরিষেবার যুগ শুরু হতে চলেছে। এলন মাস্কের স্পেসএক্স সংস্থার স্যাটেলাইট ভিত্তিক…
সৌভিক মুখার্জী, কলকাতাঃ চাকরিজীবীদের জন্য কর্মচারী ভবিষ্যনিধি (EPF) আর্থিক সুরক্ষার দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি…
Samsung এই বছরের শুরুতে Galaxy S25 সিরিজের তিনটি মডেল লঞ্চ করেছে এবং শোনা যাচ্ছে যে…
This website uses cookies.