প্রীতি পোদ্দার, প্রয়াগরাজ: মনে পড়ে ভাইরাল সেই ‘আইআইটি বাবা’। মহাকুম্ভ থেকেই তিনি বিপুল চর্চায় ছিলেন। প্রথম মহাকুম্ভেই এক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম সন্ধান পান এই আইআইটি বাবার। তাঁর আসল নাম অভয় সিং। এত শিক্ষিত হয়েও তিনি সাধকদের জীবন বেছে নিয়েছিলেন। কারণ তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে জীবনে আনন্দ লাভের জন্য যে শুধু ভোগ জরুরি নয়, ত্যাগই আসল উপায়। তাইতো তাঁকে নিয়ে মহাকুম্ভে হইচই পড়ে গিয়েছে। তবে মাঝখানে অনেকদিন তাঁর দেখা পাওয়া যায়নি। কয়েকদিন আগে সাঙ্ঘাতিক ট্রোলড হয়েছিলেন আইআইটি বাবা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফলাফল নিয়ে ভুল ভবিষ্যদ্বাণী করায় বেশ দুর্যোগ পোহাতে হয়েছিল তাঁকে। তবে সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে আইআইটি বাবার (IIT Baba) রিপোর্টকার্ড।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
প্রকাশ্যে এল আইআইটি বাবার রিপোর্ট কার্ড | IIT Baba Report Card |
মহাকুম্ভের মেলায় বিশেষ এক সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে জানা গিয়েছিল যে মুম্বইয়ের আইআইটি-তে পড়াশোনা করেছিলেন তিনি। কিন্তু পরে সংসারের সমস্ত মোহোমায়া ত্যাগ করে তিনি সন্ন্যাস নেন। আর তার পর থেকেই ‘আইআইটি’ নামটি তাঁর নামের সঙ্গে চুম্বকের মতো জুড়ে গিয়েছে। সম্প্রতি তাঁর মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক এবং জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার মার্কশিট ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা গিয়েছে যে তিনি দশম শ্রেণীতে মোট ৯৩ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন। পাশাপাশি দ্বাদশ শ্রেণীতে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৯২.৪ শতাংশ। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে যে তিনি খুব ভালো পড়াশোনায় ছিলেন।
জানা গিয়েছে অভয় সিং বা আইআইটি বাবা ২০০৮ সালে IIT-JEE পরীক্ষা দিয়েছিলেন। দুর্দান্ত ফলাফল লাভ হয়েছিল তাঁর সেই পরীক্ষায়। গোটা দেশের মধ্যে ৭৩১ র্যাঙ্ক ছিল তাঁর। সেই কারণেই এই র্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতেই আইআইটি বোম্বে-তে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান। তিনি ছিলেন ২০০৮-২০১২ ব্যাচের ছাত্র। এরপর এয়ারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং-এ বি.টেক (B.Tech) করেন। সেই রেজাল্টও ছিল সকলকে চমকে দেওয়ার মতোই। এরপর কাজের সূত্রে তিনি কানাডায় চলে যান। সেখানেই একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি শুরু করেন।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
সব ছেড়ে সন্ন্যাস জীবন
আইআইটি বাবা এক সাক্ষাৎকারে নিজেই জানিয়েছিলেন যে, কানাডায় মোট তিন বছর কাজ করেছিলেন। বার্ষিক বেতনও ছিল অনেকটাই বেশি। প্রায় ৩৬ লাখ টাকা। শুধু এই নয় অভয় একসময় ফটোগ্রাফির দিকেও বেশ ঝুঁকেছিলেন। ঘুরে ঘুরে ছবি তুলতেন বেশ। ডিজাইনিং এর ক্ষেত্রেও নজর ছিল তাঁর। তাইতো এই বিষয়েও মাস্টার্স করেছিলেন তিনি। নতুন কিছু শেখার, নতুন কিছু করার নেশা তাঁকে বারবার পথে এনে ফেলে। কিন্তু পরে সবকিছুই থমকে যায়। চাকরি ছেড়ে দিয়ে ধীরে ধীরে আধ্যাত্মিক পথে যাত্রা শুরু হয় তাঁর। তাইতো মুক্তির সন্ধানে গোটা দেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি। যার ফলে তাঁর কাছের পরিজন বন্ধুবান্ধব তাঁর এই রূপ দেখে রীতিমত অবাক হচ্ছেন।
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।