সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: গুজরাটের এক প্রান্তিক গ্রামে বসবাস। মাসিক আয় মাত্র ১২ হাজার টাকা। ব্যাংকে পড়ে আছে মাত্র ১২ টাকা। আর সেই ছেলেটিকেই নাকি নোটিশ পাঠিয়েছে আয়কর দপ্তর (Income Tax Notice)। হ্যাঁ ঠিকই পড়েছেন। আর সেই নোটিশে দাবি করা হয়েছে, তার নামে নাকি ৩৬ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। আর এরকম অবিশ্বাস্য ঘটনার সম্মুখীন হয়ে কার্যকর দিশেহারা হয়ে পড়েছে ওই যুবক।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
কোথা থেকে আসলো ৩৬ কোটি টাকার লেনদেন?
ঘটনাটি গুজরাটের সবরকণ্ঠ জেলার রতনপুর গ্রামের। ওই গ্রামের বাসিন্দা জীতেশকুমার মাকওয়ানা। একজন তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার পিয়ন পদে চাকরি করেন। প্রতিদিন অফিসের চা, জল আর টুকটাক নথিপত্র পৌঁছে দেওয়ার মাঝেই কেটে যেত তার অফিসের সময়। ভালোই চলছিল সাদামাটা জীবনযাপন। কিন্তু হঠাৎই তার জীবনে নেমে এসে বড়সড় ধাক্কা। আয়কর দপ্তর থেকে তার নামে ৩৬ কোটি টাকার এক বিশাল অঙ্কের নোটিশ পাঠানো হয়।
কী লেখা ছিল নোটিশে?
নোটিশ অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, জীতেশের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে নাকি ৩৬ কোটি টাকার লেনদেন করা হয়েছে। আর সেই টাকা কোথা থেকে আসলো বা কোথায় লেনদেন হয়েছে এবং কেন হয়েছে, তার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে ওই চিঠিতে। জীতেশের কথায়, “আমি যখন ওই চিঠি পড়ি, তখন আমার মাথার টনক নড়ে যায়। এই অঙ্ক তো আমি কখনো স্বপ্নেও ভাবিনি। আমি নিজের আয় দিয়ে কোনরকম ভাবে সংসার চালাই। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে মাত্র ১২ টাকা পড়ে। কীভাবে কোটি কোটি টাকা লেনদেন হতে পারে?”
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
সহায়তার বদলে এদিক ওদিক ঘোরানো
নোটিশ পাওয়ার পরেই কার্যত থমকে পরে জীতেশ। প্রথমে তিনি বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় থানায় যান। সেখান থেকে তাকে পাঠানো হয় সাইবার সেলের কাছে। সেখান থেকে জানানো হয় আয়কর দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে। আর সেখানে গিয়েও মেলেনি কোন সমাধান। বরং বলা হয় জিএসটি অফিসে যেতে। এখন সরকার ও প্রশাসনের কাছে একটাই দাবি, যাতে সাধারণ মানুষ এই ধরনের জটিলতার মুখোমুখি না পড়েন এবং দ্রুত সহযোগিতা পান। অন্তত জীতেশের মত অবস্থা যেন কারো না হয়।