সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ ভারতীয় রেল যাত্রীদের জন্য এক লাইফলাইন। কম সময়ের মধ্যে, কম খরচ ও আরামদায়ক সফর করার ব্যাপারে ভারতীয় রেলের আজও কোনো বিকল্প নেই। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রেল আরো আধুনিক হয়েছে। সব শ্রেণীর মানুষের সুবিধা অসুবিধার কথা মাথায় রেখে নির্ধারিত করা হয়েছে ভাড়া সহ বিভিন্ন পরিষেবা। রাজধানী এক্সপ্রেস, শতাব্দী এক্সপ্রেস হয়ে এখন প্রিমিয়াম ট্রেনের ক্যাটাগরিতে যুক্ত হয়েছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। শুনলে অনেকেই অবাক হবেন, এই সব ট্রেনগুলো আদৌ ইন্ডিয়ান রেলওয়ের নয়। হ্যাঁ, শুনতে অবাক মনে হলেও ঘটনাটা কিন্তু এটাই।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
ভারতীয় রেলের অংশ নয় শতাব্দী, রাজধানী এক্সপ্রেস!
এই ট্রেনগুলো এখন রয়েছে ভারতীয় রেলওয়ে ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের আওতাধীন। শুধু তাই নয়, শতাব্দী এক্সপ্রেস এবং রাজধানী এক্সপ্রেসের মতো ট্রেনের সমস্ত ইঞ্জিন, পণ্যবাহী ট্রেনের কোচ এবং যাত্রীবাহী কোচের মালিক আইনত মালিক হল ভারতীয় রেলওয়ে ফাইন্যান্স কর্পোরেশন বা IRFC। উপরন্তু, মিডিয়া রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে ট্রেনগুলোর মালিকানা পুরো সময়ের সঙ্গে ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের কাছেই থাকে। রেলকে দেওয়া হয় ৩০ বছরের লিজে।
ভারতীয় রেলওয়ের যাত্রী এবং মালবাহী ট্রেনের প্রায় ৮০% আইআরএফসির মালিকানাধীন।
সময়ের সঙ্গে ভারতীয় রেল অনেক উন্নত হয়েছে। পরিষেবা বৃদ্ধি পেয়েছে, আগামী দিনে আরো বাড়ানো হবে। চালানো হচ্ছে একাধিক প্রকল্প। নতুন রেল রুটের জন্য পাতা হচ্ছে নতুন লাইন। এই সব কিছুর জন্য নতুন কোচের দরকার পড়ছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৫ অর্থ বর্ষে ৭,১৩৪টি কোচ তৈরি করে রেকর্ড গড়েছিল ভারতীয় রেল। আগের অর্থবছরে মানে ২০২৪ অর্থ বর্ষে ৬,৫৪১টি কোচ তৈরি হয়েছিল। এবার তার চেয়ে ৯ শতাংশ বেশি উৎপাদন হয়েছে।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
বড় তথ্য দিল রেল
গত অর্থবছরে, নন-এসি কোচের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছিল, উৎপাদন করা হয়েছিল ৪,৬০১টি নতুন কোচ, রেল মন্ত্রকের তরফে শেয়ার করা তথ্য অনুযায়ী, ২০০৪-১৪ সালে বার্ষিক গড় কোচ উৎপাদনের সংখ্যা ছিল ৩,৩০০টি, ২০১৪-২৪ সালে তা বেড়ে ৫,৪৮১টিতে। গত দশকে মোট ৫৪,৮০৯টি কোচ উৎপাদন করা হয়েছিল বলেও জানা গিয়েছে। যাত্রী চাহিদা মেটানোর জন্য রেল যে ক্রমাগত কাজ করে চলেছে, এই পরিসংখ্যান সেটারই স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে।