সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ভারতের বাজারে ইলেকট্রিক যানবাহন ধীরে ধীরে গতি পাচ্ছে। আর সেই গতিকে আরও উচ্চ মাত্রায় নিয়ে যেতে এবার বাজারে পা রাখছে কিনেটিক গ্রিনের ইলেকট্রিক মোপেড ‘E-Luna’। একসময় ভারতের বাজারে রাজত্ব করা কিনেটিক লুনা এখন ইলেকট্রিক অবতারে বাজারে আসছে, যা হবে পরিবেশবান্ধব এবং খরচ সাশ্রয়ী।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
তবে এবার গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে এক দুর্দান্ত অফার নিয়ে হাজির হয়েছে এই কোম্পানি। যেখানে আপনি মোপেড যত খুশি চালাতে পারবেন, কিন্তু আবার তারপর সেটা ফেরত দিয়ে পাবেন ৩৬,০০০/- টাকা। কি অবাক লাগছে শুনে? কিন্তু ঠিকই শুনেছেন। আর এরকম অফার ভারতীয় বাজারে প্রথমবার দেখা যাচ্ছে।
এই অফারে কী কী সুবিধা মিলবে?
প্রথমত, আপনি নিজের ইচ্ছামত দূরত্ব পর্যন্ত এই গাড়ি চালাতে পারবেন। দ্বিতীয়ত, তিন বছর পর ফেরত দিলে গাড়ির মূল্য হিসাবে ৩৬ হাজার টাকা আপনার পকেটে ঢুকবে। এছাড়া কত কিলোমিটার চালালেন তা নিয়েও কোনো রকম শর্ত নেই। অর্থাৎ, মাইলেজের কোন বাধ্যবাধকতা নেই। তবে এই অফার শুধুমাত্র E-Luna মডেলের জন্যই প্রযোজ্য হবে এবং এটি সীমিত সময়ের জন্যই চালু করা হয়েছে।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
E-Luna এর বিশেষত্ব কী?
বেশ কিছু সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, কিনেটিক গ্রিনের এই ইলেকট্রিক মোপেডটি দুটি ভেরিয়েন্টে বাজারে আসছে। সেগুলি হল X2 ও X3। X2 ভেরিয়েন্টটি একবার ফুল চার্জ দিলেই ১১০ কিলোমিটার চালানো যাবে। তবে X3 ভেরিয়েন্টটি একবার চার্জ দিলে ১২০ কিলোমিটার চালানো যাবে। পাশাপাশি এই স্কুটারে থাকছে শক্তিশালী মোটর, যার সর্বোচ্চ গতি 50 কিমি./ঘন্টা। জানলে অবাক হবেন, এর ব্যাটারি একবার সম্পূর্ণ চার্জ দিতে সময় লাগে মাত্র ৪ ঘন্টা। ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার এবং KG Connect অ্যাপও যুক্ত করা রয়েছে এই গাড়িটিতে, যা পারফরম্যান্স ট্র্যাক করতে সাহায্য করে।
দাম কত পড়বে?
খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, E-Luna এর দাম রাখা হয়েছে মাত্র ৬৯,৯৯০/- টাকা। আর এটাই তার এক্স-শোরুম মূল্য, যা একটি ইলেকট্রিক মোপেডের ক্ষেত্রে খুবই সাশ্রয়ী।
অফারটি কেন গুরুত্বপূর্ণ?
ভারতের বাজারে ইলেকট্রিক যানবাহনের চাহিদা দিনের পর দিন বাড়ছে। তবে অনেকেই এখনো EV কেনার ক্ষেত্রে দ্বিধাবোধ করেন। কারণ ব্যাটারি লাইফ, রিসেল ভ্যালু এবং দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ নিয়ে অনেকের মধ্যেই সংশয় থাকে। তবে কিনেটিক গ্রিনের এই ই-বাইকের অফার সেই সংশয় এবার দূর করে তুলতে পারে, যাতে গ্রাহকরা নিশ্চিন্তে থাকবেন যে, তিন বছর পর বাইকটির ভালো পরিমানে রিটেল ভ্যালু মিলবে।