বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: সদ্য শেষ হওয়া ইন্ডিয়ান সুপার লিগ মরসুমে ক্রমশ নিজের দক্ষতায় শান দিয়ে মোহনবাগান (Mohun Bagan) শিবিরের ভরসা বাড়িয়েছেন দক্ষিণ 24 পরগনার চম্পাহাটির তরুণ প্রতিভা দীপেন্দু বিশ্বাস। এই দীপেন্দুর কাঁধে ভর করেই ISL-র বহু ম্যাচে মোড় ঘুরেছিল বাগানের। সবুজ মেরুনের জার্সি গায়ে শনিবার দলের সিনিয়র ফুটবলার শুভাশিস বসু, আলবার্তো রড্রিগেজ, আশিস রাইদের অনুপস্থিতিতে কলিঙ্গ সুপার কাপে তাঁর কাঁধেই দায়িত্ব থাকবে বাগানের বাঁচা মরার।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
বিগত সময়গুলিতে মোহনবাগানের জার্সি গায়ে বহু সাফল্য ছুঁয়ে দেখেছেন তিনি। তাঁকে সাথে নিয়েই ইন্ডিয়ান সুপার লিগে দ্বিমুকুট মাথায় তুলেছে সবুজ মেরুন। কিন্তু এহেন একজন বাঙালি ফুটবলারের পেছনের কাহিনী যথেষ্ট যন্ত্রণার। শোনা যায়, একসময় ফুটবল থেকে একেবারে হাত গুটিয়েই ফেলেছিলেন দীপেন্দু, তবে সময় ঘুরেছে সময়েই।
অল্প সময়েই বাগানের হয়ে নজির গড়েছেন দীপেন্দু
গত বছর ইন্ডিয়ান সুপার লিগে অভিষেক হওয়ার পর একেবারে সীমিত সময়ের মধ্যে নিজের জাত চিনিয়েছেন দক্ষিণ 24 পরগনার এই বাঙালি ফুটবলার। 2024-25 মরসুমে দলের জন্য নিজের সর্বস্ব উজাড় করে দিয়েছিলেন দীপেন্দু। বাগানের হয়ে তিনি যখনই মাঠে নেমেছেন ধারাবাহিক পারফরমেন্স দেখিয়ে সকলের নজর কেড়েছেন।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
প্রতি ম্যাচেই নিজেকে ছন্দে ধরে রেখে বাগান কর্তাদের মুখের হাসি চওড়া করেছেন তিনি। সদ্য শেষ হওয়া ISL-র 5 ম্যাচে দলের হয়ে গোল অক্ষত রাখতে সাহায্য করেছেন এই দীপেন্দু। তাছাড়াও গোল ও আসিস্ট গোল করেছেন তিনি। বাগানের হয়ে নিজের উজ্জ্বল কেরিয়ারের সূত্রপাত করা এই খেলোয়াড়ের অতীত চোখে জল আনবে।
ফুটবল ছেড়ে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল দীপেন্দুর
ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ওয়েবসাইটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মোহনবাগানের এই তরুণ ডিফেন্ডার জানিয়েছেন, করোনা মহামারীকালে তাঁর ফুটবল কেরিয়ার একেবারে শেষের পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। এ প্রসঙ্গে বাগান তারকার বক্তব্য, কোভিডের সময় মনে হয়েছিল আর কিছুই হবে না। হয়তো শেষ পর্যন্ত ফুটবল ছেড়েই দিতে হবে।
বিশ্বাস বলেন, হয়তো পুরোপুরি ফুটবল ছেড়ে দেওয়ার কথা কখনই ভাবিনি। তবে সেই সময়ে খেলতে চাওয়ার মতো ইচ্ছেটাই চলে গিয়েছিল। তবে আমি ভবিষ্যতে কিছু করে দেখাতে চেয়েছিলাম। আর সেটাই ছিল আমার একান্ত মোটিভেশন। তাই ফুটবল ছাড়িনি।
অবশ্যই পড়ুন: মাত্র ০.০৬% ক্ষতি! পাকিস্তান ব্যবসা বন্ধ করায় চিন্তাই নেই ভারতের, ও দেশে কী কী যায়?
সবুজ মেরুনের উদীয়মান তারকার সংযোজন, আমি যখন ফুটবল শুরু করি তখন বাবা মা ছাড়া আমাকে সেভাবে কেউ সমর্থন করেনি। ফুটবল খেলার জন্য বাবা মায়ের কাছে কখনই ধমক শুনতে হয়নি। বদলে প্রতি ম্যাচে ভাল পারফরমেন্স দেওয়ার জন্য আমাকে অনুপ্রাণিত করেছেন। আজ যেটুকু যা হয়েছি তাতে ওরা খুব খুশি। সবশেষে দীপেন্দু জানিয়েছিলেন, আমি সবার আগে একজন মোহনবাগান সমর্থক, তারপর সবকিছু!