MSP ঘোষণার পর আলু চাষিদের আরেকটি সুখবর শোনাল নবান্ন
শ্বেতা মিত্র, কলকাতা: বাংলার আলু চাষীদের জন্য রইল দারুণ সুখবর। রাজ্য সরকার এবার এমন এক ঘোষণা করেছে যার জেরে উপকৃত হবেন বাংলার লক্ষ লক্ষ আলু চাষি বলে মনে করা হচ্ছে। মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে রাজ্য মন্ত্রিসভা আলুর ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (Potato MSP) প্রতি কুইন্টাল ৯০০ টাকা নির্ধারণের অনুমোদন দিয়েছে। শুধু এখানেই শেষ নয়, এরপর নতুন আরও এক বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে সরকারের ঘর থেকে। বিজ্ঞপ্তিতে কী লেখা আছে জানেন?
সরকারের তরফে জারি করা বিবৃতি অনুযায়ী, ১২ জেলায় চাষিদের থেকে মোট ১১ লক্ষ টন আলু কিনবে রাজ্য। সরকারি উদ্যোগে চাষিদের কাছ থেকে জ্যোতি আলু কেনার প্রক্রিয়া শুরু হবে ১ মার্চ। চলবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত। কেনা হবে মোট ১১ লক্ষ টন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের ঘোষণার পরই এই পদক্ষেপ করল রাজ্যের দফতর।
মঙ্গলবার রাজ্য সচিবলয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলন মুখ্যমন্ত্রী জানান, “কৃষকদের সাহায্য করার জন্য আমরা আলুর জন্য নতুন ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (MSP) প্রতি কুইন্টাল ৯০০ টাকা নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটি নিশ্চিত করবে যে তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রির জন্য কষ্টকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে না।” সেইসঙ্গে তিনি দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের (DVC) সমালোচনা করেন যে তারা তার সরকারকে না জানিয়েই জল ছেড়ে দিচ্ছে এবং এর ফলে ক্ষেতের ফসল (আলু) ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
কৃষি বিপণন দফতর এক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। আর সেটা অনুযায়ী, চাষিদের কাছ থেকে জ্যোতি আলু কেনার প্রক্রিয়া শুরু হবে ১ মার্চ, যা চলবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত। এই প্রক্রিয়ায় মোট ১১ লক্ষ টন আলু কেনা হবে। একজন চাষির কাছ থেকে সর্বোচ্চ ৩৫ কুইন্টাল অর্থাৎ ৭০ বস্তা আলু কেনা হবে। সবথেকে বড় কথা, প্রতি কুইন্টাল আলুর দাম দেওয়া হবে ৯০০ টাকা করে।
সরকারের তরফে জানানো হয়েছে কোন কোন জেলা থেকে আলু কিনবে সরকার। উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গ মিলিয়ে মোট ১২টি জেলায় আলু কিনবে সরকার। এই জেলাগুলি হল পূর্ব বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও উত্তর দিনাজপুর। সরকারের আশা, এবার রাজ্যে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টন আলু উৎপাদন হবে।
কোন চাষিদের কাছ থেকে আলু কেনা হবে, বিডিওদের তত্ত্বাবধানে হিমঘর ভিত্তিক তার তালিকা তৈরি করা হবে। সরকারের কাছে আলু বিক্রয়ে ইচ্ছুক চাষিকে এজন্য আবেদন করতে হবে স্থানীয় বিডিওর কাছে। আবেদনের সঙ্গে দিতে হবে প্রয়োজনীয় নথি। চাষি যেসব নথি দেবেন তার মধ্যে থাকতে হবে—কৃষক বন্ধু প্রকল্প, কিষান ক্রেডিট কার্ড, জমির নথি এবং বাংলা শস্য বিমা প্রকল্পে আলুর বিমার কাগজ। আলু কেনার জন্য হিমঘর মালিকদের সমবায় ব্যাঙ্ক বা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, “রাজ্য সরকার কৃষকদের ফসল বীমা প্রদানের জন্য ৩২১ কোটি টাকার একটি তহবিল তৈরি করেছে।” তিনি জানান, তাঁর সরকার কৃষকদের কাছ থেকে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত আলু কিনবে যাতে তারা কোনও ক্ষতির সম্মুখীন না হয়।
সৌভিক মুখার্জী, কলকাতাঃ হোলির দিন ভারতের সোনার বাজারে আবারও বড়সড় পরিবর্তন দেখা গেল। ১৫ই মার্চের…
বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: সদ্য দলকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতিয়েছেন তিনি। তাঁর ঘূর্ণির জোরে মিনি বিশ্বকাপের বেশিরভাগ…
রেশন কার্ডধারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ খবর! শেষ তারিখ সামনে। এর আগেই এক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে হবে।…
এই মুহূর্তে আপনি যদি 5G স্মার্টফোন কিনতে চান কিন্তু বাজেট ১০,০০০ টাকার কম হয় তাহলে…
ভারতের বাজারে দৈনন্দিন মূল্যবৃদ্ধি এবং সেইসাথে পাল্লা দিয়ে পেট্রোল-ডিজেলের দাম সকল মধ্যবিত্তের প্রাণ ওষ্ঠাগত করে…
প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ফের দীর্ঘ কয়েকদিনের ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের (Bank Strike) ডাক উঠল। ব্যাঙ্কের কর্মী ও…
This website uses cookies.