প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গত বছর ২২ মে কলকাতা হাই কোর্টের OBC সার্টিফিকেট বাতিল সংক্রান্ত বড়সড় রায় দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ। সেই সময় নির্দেশ অনুযায়ী বলা হয়েছিল, ২০১০ সালের আগের OBC শংসাপত্র বৈধ। কিন্তু ২০১০ পরবর্তী অর্থাৎ ২০১১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত রাজ্যের দেওয়া সমস্ত সার্টিফিকেট অবৈধ। এবং সেই কারণে সেই সকল OBC শংসাপত্র বাতিল করে দেওয়া হয়। তার ফলে বাতিল হয়ে যায় কয়েক লক্ষ ওবিসি শংসাপত্র।
আমাদের সাথে যুক্ত হন
Join Now
এমনকি সেই সময় হাই কোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চের দাবি ছিল, ২০১০ সাল পরবর্তী ওবিসি সার্টিফিকেট বৈধ নিয়ম মেনে ইস্যু করা হয়নি। তবে এই বাতিলের ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও প্রভাব পড়েনি। তাঁদের সকলের চাকরি বহাল থাকবে বলেই জানায় হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এরপর ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সেই সঙ্গে এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে পশ্চিমবঙ্গ অনগ্রসর শ্রেণি কমিশনও। সেই মামলার শুনানি দীর্ঘদিন ধরে শীর্ষ আদালতে চলছে। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানি রয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে এ বিষয়ে নতুন করে দায়ের হওয়া মামলা খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত। যা নিয়ে উঠল নানা শোরগোল।
OBC শংসাপত্র নিয়ে মামলা খারিজ
সূত্রের খবর, প্রথমে OBC সংক্রান্ত বিষয়ে হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেছিল অমলকুমার দাস। এবং ওই মামলায় তাঁর পক্ষে রায় দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। সেই সময় হাইকোর্টের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয় প্রায় ১২ লক্ষ OBC শংসাপত্র বাতিলের। সেবার আবার ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। সেখানে চলছিল রাজ্য সরকার বনাম অমলকুমার দাসের। এরই মধ্যে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে গত ৬ জানুয়ারি নতুন মামলা দায়ের করেন অবনীকুমার ঘোষ। রাজ্য সরকার, পশ্চিমবঙ্গ অনগ্রসর শ্রেণি কমিশন এবং অমলকুমার দাস এর তিন পক্ষ ছিল। আর এই আবহে নতুন মামলাটিতে শীর্ষ আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, হাই কোর্টের রায়ে সুপ্রিম কোর্ট কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। এবং মামলাটি খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতি বিআর গভৈ এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মসি্হের বেঞ্চ।
মূল মামলা খারিজের সিদ্ধান্ত
এই প্রসঙ্গে হাই কোর্টে মূল মামলাকারীদের আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্তের মতে, সুপ্রিম কোর্টের নতুন মামলাটি খারিজ হওয়ায় মূল মামলায় প্রভাব পড়তে পারে। কারণ একই ধরনের একটি মামলা খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারাধীন মামলাটিতেও তার প্রভাব পড়বে।” এছাড়াও তিনি জানান, একই নির্দেশের প্রেক্ষিতে একটি মামলা খারিজ হয়ে গিয়েছে। যদি মূল আবেদন খারিজ না হয় তখন মূল মামলাটিও খারিজ করার জন্য তাঁরা আদালতে আবেদন জানাবেন।