সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: দেশের 43টি আঞ্চলিক ব্যাঙ্ক এবার মিশে গিয়ে 28টি ব্যাঙ্কে পরিণত হচ্ছে। হ্যাঁ, তাও 1 মে থেকে। এই বড়সড় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে “One State One RRB” নীতির আওতায়। আর এই সিদ্ধান্তের পিছনে লক্ষ্য একটাই- গ্রামাঞ্চলের ব্যাঙ্কিং পরিষেবাকে আরও কার্যকর, সাশ্রয়ী ও গ্রাহকবান্ধব করে তোলা।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
কেন ব্যাঙ্কগুলি মার্জ করা হচ্ছে?
বেশ কিছু সূত্র বলছে, গ্রামীণ মানুষের জন্য ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থাকে সহজ করার উদ্দেশ্যেই একাধিক আরআরবি মিলে একটি শক্তিশালী ইউনিট তৈরি করা হচ্ছে। হ্যাঁ, এমনকি এটি প্রতিটি রাজ্যেই হচ্ছে। এর ফলে শুধুমাত্র ব্যাঙ্ক পরিচালনার খরচ কমবে না, বরং গ্রাহক পরিষেবার মানও উন্নত হবে। আর এটি নয়া কোনো সিদ্ধান্ত নয়। এর আগে তিন ধাপে মার্জ হয়েছে আরআরবিগুলি। আর এটি চতুর্থ ধাপ।
কোন রাজ্যগুলিতে ব্যাঙ্ক মার্জিং হচ্ছে?
এখনও পর্যন্ত সূত্রের যা খবর, দেশের 11টি রাজ্যে এই সিদ্ধান্তের সবথেকে বড় প্রভাব পড়বে। আর সেই রাজ্যগুলি হল অন্ধপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, গুজরাট, জন্মু ও কাশ্মীর, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, উড়িষ্যা এবং রাজস্থান।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
কেমনভাবে মার্জ ধরছে?
অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের ক্ষেত্রে চারটি গ্রামীণ ব্যাঙ্ক মিলে গঠন করা হচ্ছে অন্ধ্রপ্রদেশ গ্রামীণ ব্যাঙ্ক। আর এর সদর দপ্তর হবে অমরাবতীতে এবং এটি ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া দ্বারা স্পনসর করা হবে।
উত্তরপ্রদেশের বরোদা ইউপি ব্যাঙ্ক, আর্যাবত ব্যাঙ্ক ও প্রথমা ইউপি গ্রামীণ ব্যাঙ্ক মার্জিং হয়ে উত্তরপ্রদেশ গ্রামীণ ব্যাঙ্ক তৈরি হবে, যার সদর দপ্তর হবে লখনৌতে। আর এই ব্যাঙ্কের স্পনসরশিপ থাকবে ব্যাঙ্ক অফ বরোদার হাতে।
পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে তিনটি ব্যাঙ্ক- বঙ্গীয় গ্রামীন বিকাশ ব্যাঙ্ক, পশ্চিমবঙ্গ গ্রামীণ ব্যাঙ্ক এবং উত্তরবঙ্গ আরআরবি মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গ গ্রামীণ ব্যাঙ্ক তৈরি করা হবে।
বিহার রাজ্যের ক্ষেত্রে দক্ষিণ ও উত্তর বিহার গ্রামীণ ব্যাঙ্ক মিলে বিহার গ্রামীণ ব্যাঙ্ক গঠন করা হবে। আর এই ব্যাংকের স্পন্সর করবে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক।
সাধারণ মানুষের উপর কতটা প্রভাব পড়বে?
এই ব্যাঙ্ক মার্জিং-এর ফলে গ্রাহক পরিষেবার মানা আরও সহজ হবে। একাধিক ব্যাঙ্কের বদলে একটি ইউনিফাইড ব্যাঙ্ক হওয়ায় তথ্য পরিষেবা আরও দ্রুত পাওয়া যাবে। তবে এক্ষেত্রে জানিয়ে রাখি, মার্জ হলেও ব্যাঙ্কের শাখা বন্ধ হচ্ছে না। বরং 22 হাজারের বেশি শাখা এবং 670টির বেশি জেলায় আগের মতই ব্যাঙ্কিং পরিষেবা চালু থাকবে। পাশাপাশি ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং এবং ইউনিফায়েড সফটওয়্যার সবই হবে আরও উন্নত।
চতুর্থবার মার্জ হচ্ছে ব্যাঙ্কগুলি
প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, 2006-2010 সালে প্রথম আরআরবির সংখ্যা ছিল 196টি। সেবার মার্জ হয়ে 82টিতে নেমে এসেছিল। দ্বিতীয়বার 2013-2015 সালে 82টি আরআরবি কমে দাঁড়ায় 56টিতে। তৃতীয়বার 46টি আরআরবি মার্জ হয়ে দাঁড়ায় 35টিতে। আর এবার 43টি ব্যাঙ্ক মার্জ হয়ে 28টি হচ্ছে।