শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ বর্তমানে বাংলা সিরিয়ালগুলির রমরমা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। কে কত বেশি মেগা এনে চমক দেবে কার্যত সেই প্রতিযোগিতায় বুঁদ হয়ে আছে প্রোডাকশন হাউসগুলি। যদিও কোন সিরিয়াল কতদিন অবধি চলবে সেটা নির্ধারণ করে টিআরপি (Target Rating Point)। বিগত কয়েক বছরে এমন বহু সিরিয়াল এসেছে যেগুলি জনপ্রিয়তা পেয়ে মাসের পর মাস বছরের পর বছর ধরে চলেছে। আবার এমনও কিছু মেগা আছে যেগুলি কিনা TRP-র অভাবে মাঝপথেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তবে আজকের এই প্রতিবেদনে এমন একটি মেগা নিয়ে বলা হবে যেটি কিনা শুরু থেকেই সকলের মনে জায়গা করে নিয়েছে। আর যার ফল দেখা গিয়েছে টিআরপি তালিকাতেও। আজ কথা হচ্ছে জি বাংলার ‘পরিণীতা’ সিরিয়াল নিয়ে। যদিও শুরুর সময় থেকে এই মেগার হিরো ও হিরোইনকে নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি।
TRP তালিকায় বড় চমক
শুরু থেকেই একপ্রকার টিআরপি তালিকায় চমক দিয়ে যাচ্ছে জি বাংলার ‘পরিণীতা’। কিন্তু এই মেগা শুরু হওয়ার আগে ও পর থেকে আদৌ দু মাস চলবে কিনা তা নিয়ে উঠছিল প্রশ্ন। জানলে অবাক হবেন, চলতি সপ্তাহের টিআরপি তালিকায় এই মেগা প্রথম হয়েছে। আর এভাবেই কার্যত নিন্দুকদের মুখে ঝামা ঘষে দেওয়া গিয়েছে বলে মনে করছেন অভিনেতা উদয়প্রতাপ সিং। এই সিরিয়ালে নায়িকার ভুমিকায় আছেন একদম নবাগতা ঈশানী চট্টোপাধ্যায়।
এই সিরিয়াল নিয়ে যে কম টিটকিরি শুনতে হয়নি সেটা বললেন অভিনেতা উদয়। দীর্ঘদিন ধরে উদয় বিভিন্ন মেগায় পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেছেন। কিন্তু এই প্রথম কোনও সিরিয়ালে লিড রোল পেয়েছেন। এই নিয়ে কম কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়নি বিশেষ করে অভিনেতাকে। ‘লোকে ফ্লপনীতাও বলেছিল’, বলে জানান অভিনেতা।
সিরিয়ালের ফলাফল নিয়ে খুশি অভিনেতা
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেতা অতি উচ্ছ্বাসের সঙ্গে জানান, ‘আমি প্রচণ্ড সন্তুষ্ট। এতটা আশা করিনি, যে এত ভালো রেন্সপন্স পাব, আস্তে আস্তে বেঙ্গল টপার হয়ে যাব। পরিণীতা সবে শুরু হয়েছে, প্রথম সপ্তাহ থেকেই আমরা ভালো নম্বর এনেছি টিআরপি তালিকায়, স্লট দখলে রেখেছিলাম। কিন্তু আমাদের প্রথমদিকে কেউ সিরিয়ালসি নেয়নি। নায়িকা নতুন, আমি এতদিন ধরে পার্শ্ব চরিত্রে কাজ করেছি। তাই আমাদের থেকে কেউ বিশেষ আশা রাখেনি, প্রথমে অনেক সমালোচনা হয়েছে, লোকে ভেবেছিল বেশিদিন টিকবে না। তবে আমি খুশি যে দর্শক আমাদেরকে, আমাদের কাহিনিকে গ্রহণ করেছে।’
সমালোচনা কীভাবে সামলেছেন? এই প্রশ্নের জবাবে অভিনেতা জানান, ‘শুরুতে পাতি কথায় কেউ আমাদের পাত্তা দেয়নি। বলেছিল এটা একটা র্যানডম সিরিয়াল, ৩-৪ মাসে বন্ধ হয়ে যাবে। ফ্লপনীতা বলা হত আমাদের সিরিয়ালকে। কিন্তু কিছুই বলতে চাই না। দর্শকদের জন্যই আমাদের এত মেহনত। সমালোচনা তো থাকবেই, সেটাও মাথা পেতে নিতে হবে। সবাই ভালো বলবে এটা তো হতে পারে না। তবে সেটা যেন গঠনমূলক সমালোচনা হয়, ব্যক্তিগত স্তরে গিয়ে সমালোচনাটা গ্রহণযোগ্য নয়। সমালোচকরা আমাদের কাজটা যারা হেট করেছিল, তারা আমাদের আরও ভালো কাজ করতে অনুপ্রাণিত করেছিল। নিজের কাজটা মাথা নীচু করে করে যেতে হবে। যে যা বলছে বলুক।’