শ্বেতা মিত্র, কলকাতা: চলতি অর্থবছরের জন্য সুদের হার ঘোষণা করেছে EPFO। সদস্যদের জন্য ৮.২৫ শতাংশ সুদ বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থা। আপাততভাবে ব্যাঙ্কের থেকে সুদের হার বেশি মনে হলেও, এবারের সুদের হার ৮.৫৫ শতাংশ সুদের হার ঘোষণা করা হয়নি, সে ব্যাপারে প্রশ্ন রয়ে যাচ্ছে। সুদের হার না বাড়ানোর কারণ হিসেবে কেন্দ্রীয় সরকারের ভুল সিদ্ধান্তকেই দায়ী করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
কেন বাড়ল না PF-এর সুদ?
সরকার যতটা লাভ পাবে বলে আশা করেছিল, সেই পরিমাণ লাভ পাওয়া যাবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। কেন্দ্র যে দু’টো কোম্পানির ওপর আস্থা রেখেছিল, সেই দু’টো কোম্পানিই এখন দেউলিয়া। আইএল অ্যান্ড এফএস এবং রিলায়েন্স ক্যাপিটাল, এই দুটো কোম্পানিতে লগ্নি করা হয়েছিল। দুই কোম্পানিকে ইতিমধ্যে দেউলিয়া বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
এই সংস্থা দু’টিতে ৩ হাজার ৩৭ কোটি টাকা লগ্নি করা হয়েছিল বলে সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন এমন দাঁড়িয়েছে যে ন্যুনতম দেড় হাজার কোটি টাকাও ফেরৎ আসবে কি না সে ব্যাপারে রয়েছে ঘোরতর সন্দেহ। ফলত মোট যে পরিমাণ লাভের আশা করা হয়েছিল, সেই পরিমাণ লাভ আসবে না বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। একে টাকা ফেরৎ না আসার ব্যাপারে আশঙ্কা, তার ওপর ৮.২৫% শতাংশ হারে সুদ।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট
মিডিয়া রিপোর্টে এও বলা হচ্ছে, সদস্যদের সুদে দেওয়ার পর EPFO-র হাতে থেকে যাবে ৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, এবার মোট ১৫ লক্ষ ২৩ হাজার ২৮৯ কোটি টাকার উপর সুদ মেটাতে হবে ইপিএফও-কে। কারণ কোটি কোটি সদস্যর জমা রাখা টাকা নিয়ম অনুযায়ী সরকারকে ফেরৎ দিতে হবে। সেই সঙ্গে ৮.২৫ শতাংশ হারে সুদ দিতে হলে পিএফ কর্তৃপক্ষের খরচ হবে প্রায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার ৬৭২ কোটি টাকা।
এই পরিমাণ টাকার দেওয়ার পরেও ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি টাকা বাড়তি থাকবে। এই পরিমাণ অর্থ বাড়তি থাকার পরেও সুদের হার ৮.২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৮.৫৫ শতাংশ কেন করা হল না সে ব্যাপারে উঠছে প্রশ্ন। ৮.৫৫ শতাংশ হারে সুদ দেওয়ার পরেও প্রায় ৭৪২ কোটি টাকা বাড়তি থেকে যেত। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ঘাটতি রাখার পরেও সুদের হার বাড়ানো হয়েছিল। এবার তাহলে নয় কেন? থাকছে এই প্রশ্ন।