Poly House Farming: পলি হাউস চাষে ৯৫% ভর্তুকি দেবে সরকার, এভাবে কাজ শুরু করলে প্রতিমাসে লাভ হবে লাখে | Poly House Farming Business Where Government Funds Up To 95%
পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ বাজারে চাকরির যা হাল তাতে কাজের খোঁজ না করে ব্যবসার দিকে ঝুঁকছেন অনেকেই। তবে যে কোনো কিছু করার আগে ভালো করে প্ল্যানিং করে নেওয়াটা সবচেয়ে বেশি জরুরি। এমন একটা ব্যবসা করতে হবে যেটা সবাই চট করে চালু করতে পারে না অথচ প্রোডাক্টের চাহিদা রয়েছে বাজারে, তাহলেই প্রতিমাসে মোটা আয় নিশ্চিত করা যেতে পারে। আজ এমনই একটা ব্যবসার আইডিয়া রইল আপনাদের জন্য।
বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে কৃষিক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। আগে যেখানে প্রথগতভাবে ধান, গম কিংবা এই ধরণের খাদ্য শস্য চাষ করা হত তা অনেক ক্ষেত্রেই পাল্টে গিয়েছে। নতুন মেশিন থেকে শুরু করে অত্যাধুনিক চাষের পদ্ধতির জেরে কৃষিকাজ যেমন সহজ হয়েছে তেমনি লাভদায়কও হয়েছে। তাছাড়া কৃষিকাজের সাথে জড়িত ব্যবসার ক্ষেত্রে সরকারি সাহায্য ও কমসুদে ঋণও খুব সহজেই পাওয়া যায়।
প্রথাগত পদ্ধতি ছেড়ে পলিহাউস চাষ বা বলা ভালো গ্রিন হাউস চাষের ব্যবসা করতেই পারেন। এক্ষেত্রে সরকারের তরফ থেকে মোট খরচের ৫০% পর্যন্ত অনুদান পাওয়া যেতে পারে। আর যদি আপনি SC বা ST সম্প্রদায়ভুক্ত হন তাহলে সেটা ৭০% হতে পারে। এমনকি সীমান্তবর্তী কৃষকদের ক্ষেত্রে ৯৫% পর্যন্ত খরচ সরকারি অনুদানের দ্বারা পাওয়া যেতে পারে। তাই বিনিয়োগ যে খুব বেশি প্রয়োজন হবে না সেটা বোঝাই যাচ্ছে।
উদাহরণস্বরূপ ৫০০ বর্গমিটার এলাকায় গ্রিন হাউস তৈরির জন্য ১,০৬০ টাকা প্রতি বর্গমিটার খরচ হয়। তবে একেবারে বড় করে বানাতে পারলে খরচ কিছুটা কমে। যদি ১,০০০ বর্গমিটাrer করেন তাহলে ৯৩৫ টাকা প্রতি বর্গমিটার ও ২,০০০ বর্গমিটার বানালে ৮৯০ টাকা প্রতিবর্গমিটার হিসাবে খরচ হবে। এই খরচের ৫০-৭০% সরকারি অনুদান পাওয়া গেলে অনেকটাই কম বিনিয়োগে প্রয়োজন। তাই একবার গ্রিন হাউস বা পলি হাউস তৈরী করার পর তাতেই চাষ করে ভালো উপার্জন করা সম্ভব।
পলি হাউস চাষ শুরু করতে চাইলে সরকারি সাহায্যের আবেদন করতেই হবে। কারণ এতে অনেকটাই খরচ বেচে যায়। তবে এক্ষেত্রে আবেদনের পূর্বে কিছু নথিপত্র তৈরী রাখতে হবে। সেগুলি হলঃ
এই সমস্ত ডকুমেন্ট সাথে নিয়ে তবেই আবেদন করতে হবে। একইসাথে কি চাষ করতে চান সেই সম্পর্কে জানিয়ে তবেই আবেদন করতে হবে। এরপর সবটা যাচাই করার পরেই সরকারের তরফ থেকে অনুদান দেওয়া হবে।
এই পদ্ধতিতে চাষ করলে অতিরিক্ত রোদ বা ঠান্ডার থেকে গাছকে সুরক্ষিত রাখা যায়। এছাড়া যেহেতু গোটা এলাকা ঘেরা থাকে তাই বাইরে থেকে কীটপতঙ্গের উৎপাতও কম হয়। একইসাথে অতিবৃষ্টি বা শিলাবৃষ্টির হাত থেকেও ফসলকে বাঁচানো যায়। গ্রিন হাউস পদ্ধতিতে প্রচুর সবজি ও ফলের চাষ সম্ভব যেগুলো বাজারে যেমন চাহিদা থাকে তেমনি ভালো দামও পাওয়া যায়। যেমন কপি, করলা, মুলা, লঙ্কা, পেঁয়াজ, পালং শাক, টমেটো ইত্যাদি।
এমনকি অনেকেই আজকাল ফুল চাষের জন্যও এই পদ্ধতি ব্যবহার করছেন। সিজেন ও অফসিজেনে সঠিক ফুলের চাষ করতে পারলেই প্রতিমাসে ৫০,০০০ টাকা থেকে শুরু করে ১,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব।
আইকোর অন্যতম সেরা ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন iQOO 13 5G। শুধু ক্যামেরা নয়, এতে রয়েছে শক্তিশালী প্রসেসর…
আপনি নিশ্চয়ই ভারতের রাস্তায় হিরো কোম্পানি বা টাটা কোম্পানির বৈদ্যুতিক সাইকেল দেখে থাকবেন। তবে, এটাই…
সৌভিক মুখার্জী, কলকাতাঃ আপনি কি সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ খুঁজছেন? তাহলে আপনার জন্য দারুণ খবর।…
শ্বেতা মিত্র, কলকাতা : আচমকা বদলে গেল রবিবাসরীয় বিকেলের আবহাওয়া (South Bengal Weather)। ভ্যাপসা গরম…
ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে বাজারে এখন গুচ্ছের স্মার্টফোনের ছড়াছড়ি। তবে তার মধ্যে একটি দারুন বিকল্প হতে পারে…
সৌভিক মুখার্জী, কলকাতাঃ কলকাতায় চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন জেলা থেকে অসংখ্য ক্যান্সার রোগী আসেন। এমনকি অনেকে…
This website uses cookies.