সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: দেশের অর্থনীতিতে এবার নতুন মোড় ঘুরতে চলেছে। মুদ্রাস্ফীতির হার এবার তলানিতে ঠেকছে। আর ঠিক সেই সময় রিজার্ভ ব্যাংক (Reserve Bank of India) বড়সড় সিদ্ধান্তের পথে হাঁটল। হ্যাঁ, SBI রিসার্চ তেমনই এক ইঙ্গিত দিয়েছে। তাদের মতে, চলতি বছরের জুন এবং আগস্ট মাসে ৫০ বেসিস পয়েন্টে রেপো রেট কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
তলানিতে ঠেকছে রেপো রেট
SBI রিসার্চের একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে দেশের জিডিপি বৃদ্ধি হার ৬.৩ শতাংশ হতে পারে। হ্যাঁ, তবে সামান্য নিম্নমুখী প্রবণতা নিয়েই জিডিপি বৃদ্ধি হবে। আর এর কারণ হিসেবে তারা তুলে ধরছে অনিশ্চিত অর্থনৈতিক পরিবেশ এবং দুর্বল চাহিদাকে।
সেই প্রতিবেদনে স্পষ্ট বলা আছে, মার্চ মাসে বহু বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন মুদ্রাস্ফীতি দেখা গিয়েছে। ভবিষ্যতের জন্যও মুদ্রাস্ফীতি কিছুটা অনুকূল থাকতে পারে। আর এই পরিস্থিতিতে জুন এবং আগস্ট মাসে রেপো রেট ৫০ বেসিস পয়েন্ট ছাঁটাই হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। এমনকি সামগ্রিকভাবে ১০০ বেসিস পয়েন্টের বেশিও ছাঁটাই করা হতে পারে।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
ইতিমধ্যেই কমেছে সুদের হার
গত ৯ই এপ্রিল রিজার্ভ ব্যাংকের মনেটারি পলিসি কমিটি ২৫ বেসিস পয়েন্ট রেপো রেট কমিয়েছে। ফলে ৬.২৫ শতাংশ দেখে তা একেবারে ৬ শতাংশে নেমে এসেছে। আর এর আগে ফেব্রুয়ারিতেও ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমানো হয়েছিল। অর্থাৎ, পরপর দুবার রেপো রেট ছাঁটাই করা হলো।
কেন এরকম সিদ্ধান্ত?
রেপো রেট কমানোর মূল কারণ হিসেবে তারা দেখছে দেশের মুদ্রাস্ফীতির হার উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাওয়া। ২০২৫ এর মার্চ মাসের সিপিআই এর তথ্য অনুযায়ী, মুদ্রাস্ফীতি দাঁড়িয়েছে মাত্র ৩.৩৪%, যা গত ৬৭ মাসের মধ্যে সবথেকে কম। এছাড়া খাদ্যদ্রব্যের দাম হ্রাস পাওয়ায় মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে থাকছে। উদাহরণস্বরূপ, মার্চ মাসে সবজির দাম প্রচুর হ্রাস পেয়েছে। যার ফলে খাদ্য এবং পানীয় দ্রব্যের মুদ্রাস্ফীতি কমে হয়েছে ২.৮৮%।
গ্রাম এবং শহরের মধ্যে পার্থক্য
আগে গ্রামীণ ভারতে মার্চের সিপিআই অনুযায়ী মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৩.২৫ শতাংশ। তবে সেখানে শহরাঞ্চলে এই হার দাঁড়িয়েছিল ৩.৪৩ শতাংশ। কিন্তু ফেব্রুয়ারি মাসের তুলনায় এবার সামান্য পতন লক্ষ্য করা গিয়েছে।
সাধারণ মানুষের উপর কী প্রভাব পড়বে?
রেপো রেট কমা মানেই ব্যাংকগুলি রিজার্ভ ব্যাংক থেকে কম সুদে ঋণ নেবে। ফলে গ্রাহকদের জন্য হাউসিং লোন, গাড়ি লোন, পার্সোনাল লোন এখন আরো সহজ হবে। এর ফলে বাজারে অর্থের প্রবাহ আরো বাড়বে এবং বিনিয়োগ ও খরচে সাধারণ মানুষ উৎসাহী হবে।