বাইক হোক বা স্কুটার, টু-হুইলার কেনার পর কিছুদিন না যেতেই ক্রেতাদের একাংশের তা নিয়ে অভিযোগের বন্যা বয়ে যায়। কোথাও ইঞ্জিন খারাপ, তো কোথাও যন্ত্রাংশে থেকে যায় খামতি। আর সেই যন্ত্রনা ভুগতে হয় চালককে। সম্প্রতি জে ডি পাওয়ার একটি সমীক্ষা করে জানিয়েছে, ভারতে কোন কোন কোম্পানিগুলির বাইক ও স্কুটারে অভিযোগ সবথেকে কম। চলুন জেনে নেওয়া যাক।
কোম্পানিগুলির নাম বলার আগে জানিয়ে রাখি, এই সমীক্ষা করা ৬৫০০টি দু’চাকা গাড়ির উপর। আরও দাবি যে, প্রথাগত জ্বালানি চালিত দু’চাকার তুলনায় বৈদ্যুতিক দুই চাকা গাড়ি নিয়ে চালকদের অভিযোগ সবথেকে বেশি। সমীক্ষা অনুযায়ী, মালিকানার প্রথম ছয় মাসের মধ্যে যারা তাদের দুই চাকার গাড়ি ২,৫০০ কিলোমিটারের বেশি চালিয়েছেন, তাদের মাইলেজ, কম থাকা স্কুটারগুলির তুলনায় গড়ে ৯ পিপি১০০ (প্রতি ১০০টি গাড়িতে সমস্যা) বৃদ্ধি পেয়েছে।
এই ধরনটি বিশেষ করে বৈদ্যুতিক স্কুটারগুলিতে স্পষ্ট ছিল। যেখানে সবচেয়ে সাধারণ সমস্যাগুলির মধ্যে ছিল, ব্রেক সমস্যা, আলোর সমস্যা, বৈদ্যুতিক উপাদান, সামগ্রিক ফিট এবং ফিনিশ। ২০২৫ সালের ইন্ডিয়া টু-হুইলার ইনিশিয়াল কোয়ালিটি স্টাডিতে দেখা গিয়েছে, টিভিএস জুপিটার ইকোনমি স্কুটার সেগমেন্টে প্রতি ১০০টি গাড়ির ৭৫টি সমস্যা থাকায় তালিকায় (PP100) শীর্ষে রয়েছে। তার পর হোন্ডা ডিও ১২৫ এর ৫০টি পিপি১০০-সহ এক্সিকিউটিভ স্কুটার ক্যাটাগরিতে সবথেকে বেশি।
মোটরসাইকেল সেগমেন্টে, টিভিএস রেডিয়ন ৫৪টি পিপি১০০-সহ ইকোনমি ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ স্থান অর্জন করেছে, যেখানে হিরো সুপার স্প্লেন্ডর ক্সটেক এবং হোন্ডা সাইন ১২৫, ৭২টি পিপি১০০-সহ এক্সিকিউটিভ মোটরসাইকেল ক্যাটাগরিতে শীর্ষ স্থান অর্জন করেছে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, অন্যান্য কোম্পানির তুলনায় রয়্যাল এনফিল্ড বাইকগুলিতে প্রতি ১০০টি ইউনিটে সমস্যা বা অভিযোগ সবথেকে কম।