SBI Fellowship: প্রতিমাসে ১৯ হাজার টাকা, পড়ুয়াদের সুবর্ণ সুযোগ দিচ্ছে SBI ফেলোশিপ | SBI Youth For India Fellowship 2025-26
সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: এমন একটা সময় ছিল, যখন গ্রামের উন্নয়ন মানেই সরকারি প্রকল্পের উপর ভরসা ছাড়া আর কোন রাস্তা ছিল না। কিন্তু সময় বদলেছে। এখন যদি কোন শিক্ষিত তরুণ-তরুণী এগিয়ে এসে গ্রামীন সমাজের পাশে দাঁড়াতে চায় তাহলে তাঁদের জন্য দরজা খুলে দিয়েছে SBI Youth for India Fellowship 2025-26।
হ্যাঁ, SBI Foundation দ্বারা পরিচালিত এই ফেলোশিপ (SBI Fellowship) দেশের সেরা রুরাল লিডারশিপ প্রোগ্রাম হিসেবে স্বীকৃত। আর এবার তারা নতুন ব্যাচের জন্য আবেদন গ্রহণ করছে। আপনি যদি এই ট্রেনিং-এ অংশগ্রহণ করতে চান এবং প্রতি মাসে মোটা অঙ্কের স্টাইপেন্ড পেতে চান, তাহলে প্রতিবেদনটি আপনার জন্য।
২০১১ সালের ১লা মার্চ শুরু হয় এই ফেলোশিপ। এই প্রোগ্রামের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র গ্রামীণ উন্নয়ন নয়, বরং দেশের ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা। শহরের শিক্ষিত যুব সম্প্রদায়কে গ্রামের মানুষের সঙ্গে কাজ করার প্ল্যাটফর্ম দেওয়া এই ফেলোশিপের মূল উদ্দেশ্য। পাশাপাশি এর মাধ্যমে স্থানীয় এনজিওদের সঙ্গে হাতে-কলমে প্রকল্প বাস্তবায়নেও অংশগ্রহণ করা যায়।
আগেভাগে জানিয়ে রাখি, এই ফেলোশিপটি ১৩ মাসের জন্য অনুষ্ঠিত হয়। আপনি যেকোনো একটি বিষয়ে কাজ করতে পারেন, যা আপনার পছন্দ এবং দক্ষতার উপর নির্ভর করবে। এর মধ্যে সবথেকে উল্লেখযোগ্য ক্ষেত্রগুলি হল শিক্ষা, খাদ্য নিরাপত্তা, পরিবেশ সুরক্ষা, স্বাস্থ্য, বিকল্প শক্তি, নারীর ক্ষমতায়ন, প্রযুক্তি, পানীয় জল ইত্যাদি।
ফেলোশিপে আবেদন করার জন্য কিছু যোগ্যতা পূরণ করতে হয়। প্রথমত ২০২৫ সালের ১লা অক্টোবরের আগে প্রার্থীদের স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে হবে। বয়স সীমা নিয়ে যদি আলোচনা করি, তাহলে অবশ্যই প্রার্থীদের ২১ বছর থেকে ৩২ বছরের মধ্যে বয়স হতে হবে। নাগরিকত্ব বলতে গেলে, ভারত, নেপাল বা ভুটানের নাগরিকরা এখানে আবেদন করতে পারবে।
প্রার্থীদের কাজের প্রতি মনোযোগ বাড়ানোর জন্য এই ফেলোশিপে অংশগ্রহণ করলে দেওয়া হচ্ছে মোটা অঙ্কের স্টাইপেন্ড। হ্যাঁ, এখানে প্রতি মাসে ১৬ হাজার টাকা স্টাইপেন্ড দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি যাতায়াতের জন্য মাসিক ২ হাজার টাকা ভাতা দেওয়া হবে, প্রকল্প খরচের জন্য মাসিক ১ হাজার টাকা ভাতা দেওয়া হবে এবং ফেলোশিপ শেষে পুনর্বাসন ভাতা হিসেবে ৯০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে।
ফেলোশিপ আপনার কেরিয়ারকে সেরা জায়গায় নিয়ে যেতে পারে। হ্যাঁ, যারা ইতিমধ্যেই এই ট্রেনিং নিয়েছে, তারা কেউ কেউ CSR বিভাগে কর্মরত করেছেন বা নিজেই সামাজিক উদ্যোগে কাজ শুরু করেছেন, অথবা সরকারি প্রকল্প বা পঞ্চায়েতের সঙ্গেও কাজ করছেন। এমনকি ভারতের বাইরের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন অনেকেই।
এখনো পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে, অনলাইনের মাধ্যমে ফেলোশিপের জন্য আবেদন করতে হবে। আবেদন করার পর কয়েকটি সহজ প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। যাদের অ্যাসেসমেন্ট সফল হবে, তারা ইন্টারভিউতে ডাক পাবেন। ইন্টারভিউ এর মাধ্যমে সরাসরি নিয়োগ করা হবে।
তাই যদি ভবিষ্যতকে সুরক্ষিত করতে চান এবং প্রতি মাসে মোটা অঙ্কের স্টাইপেন্ড পেতে চান, তাহলে অবশ্যই ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্কের এই ফেলোশিপ হতে পারে আপনার জন্য সেরা বিকল্প।
আপনি কি প্রতি মাসে রিচার্জ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন? রিচার্জের তারিখ মনে রাখতে ভুলে…
রেডমি আজ ভারতে তাদের সাশ্রয়ী মূল্যের ফোন Redmi A5 লঞ্চ করল। এর দাম শুরু হয়েছে…
প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad Waqf Violence) একেবারে ভয়াবহ হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে।…
সহেলি মিত্র, কলকাতা: বর্তমান সময়ে এমন খুব মানুষই বাকি আছেন যার পিএফ (PF) অ্যাকাউন্ট নেই।…
প্রীতি পোদ্দার, মুম্বই: দেশ তথা গোটা রাজ্যের উন্নতি ঠিক তখনই সম্ভব যখন সেই রাজ্য অথবা…
সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ ফের একবার দুর্যোগের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে বাংলা। ইতিমধ্যে বাংলার নতুন বছর শুরু হয়ে…
This website uses cookies.