বহু ব্র্যান্ড স্মার্টফোনের বিজ্ঞাপন করার সময় ওয়াটারপ্রুফ অথবা ওয়াটার রেজিস্ট্যান্ট শব্দগুলি ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু, দুই বৈশিষ্ট্যের মধ্যে বড় তফাৎ রয়েছে। ব্র্যান্ডগুলির প্রচারণায় পা না দিয়ে এর মধ্যে কী পার্থক্য রয়েছে তা জেনে রাখা উচিত। বিশেষ করে নতুন স্মার্টফোন কেনার আগে ওয়াটার-রেজিস্ট্যান্ট বা ওয়াটারপ্রুফ, দুই বৈশিষ্ট্য যাচাই করা বুদ্ধিমত্তার পরিচয়।
ওয়াটার-রেসিস্ট্যান্ট বা জল-প্রতিরোধী স্মার্টফোন কী?
জল-প্রতিরোধী স্মার্টফোনগুলি এমনভাবে তৈরি করা হয়, যাতে হালকা বৃষ্টি, দুর্ঘটনাজনিত জলের ছিটে বা ঘামের মতো সামান্য জলের সংস্পর্শ এটি সহ্য করতে পারে। তবে, এই ফোনগুলি জলের ক্ষতি থেকে সম্পূর্ণরূপে সুরক্ষিত নয়। অল্প পরিমাণ জল প্রতিরোধী করার জন্য একটি বিশেষ আবরণ প্রয়োগ করা হয়। তবে এই ধরনের ফোন যদি জলে ডুবে থাকে, তাহলে এটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
ওয়াটারপ্রুফ বা জলরোধী স্মার্টফোন কী?
একটি ওয়াটারপ্রুফ স্মার্টফোন এমন ভাবে তৈরি করা হয় যা জল ভিতরে ঢুকতে বাধা দেয়। এমনকী ডুবে গেলেও ক্ষতি কম হয়। মূলত এই ধরনের ফোনে থাকে আইপি৬৮ বা আইপি৬৯ রেটিং যা একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত জলের নীচে স্মার্টফোন রক্ষা করতে সাহায্য করে।
ওয়াটারপ্রুফিংয়ের ক্ষেত্রে আইপি রেটিং কী?
আইপি বা ইনগ্রেস প্রোটেকশন রেটিং থেকে বোঝা যায়, কোনও স্মার্টফোন কতটা প্রতিরোধী। যেমন, আইপিএক্স৪-আইপিএক্স৬ বোঝায় এটি ঝাপটা এবং হালকা বৃষ্টি সহ্য করতে পারে। আবার আইপিএক্স৭-আইপিএক্স৯কে নির্দেশ করে যে, সাঁতার কাটার সময়, জলের নীচে ব্যবহার এবং অনেক বেশি জলের সংস্পর্শেও ফোনটি সুরক্ষিত থাকবে। তাই নতুন ফোন কেনার আগে আইপি রেটিং এবং উপরোক্ত সূচকগুলি মাথায় রাখা উচিত।