Success Story: টোটো চালিয়ে পড়াশোনা, করেছেন MSC পাস, শান্তিপুরের দেবীর কাহিনী অনুপ্রেরণা দেবে | Santipur Devi Roy
সৌভিক মুখার্জী, কলকাতাঃ একদিকে কাঁধে সংসারের দায়িত্ব, অন্যদিকে নিজের স্বপ্ন! এই দুইয়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে এগিয়ে চলেছেন শান্তিপুরের দেবী রায়। পারিবারিক অনটন বাধা হয়ে দাঁড়ালেও মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়িয়েছেন তিনি। হার মানার পাত্রী নন দেবী। একদিকে যেমন টোটো চালিয়েই সংসারের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন, তেমনই অন্যদিকে চালিয়ে গিয়েছেন নিজের পড়াশোনা। আজ তিনি ভূগোলে স্নাতকোত্তর পাশ করেছেন এবং ভবিষ্যতে তিনি আরও বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।
প্রতিদিনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নদীয়ার হবিবপুরের মেয়ে দেবী রায়। ছোট থেকেই পড়াশোনায় খুব ভাল ছিল। কলেজের দ্বিতীয় বর্ষে থাকাকালীন পরিবারের সিদ্ধান্তে বিয়ে করতে হয় তাকে। শান্তিপুরের কৃষিপল্লী এলাকার স্বামী অমৃত বারুইয়ের সঙ্গে শুরু হয় তার নতুন জীবন। কিন্তু দিনমজুর স্বামীর রোজগারে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছিল। তবুও দেবীর মনে একটাই ইচ্ছা, যেভাবেই হোক তার পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে।
অর্থনৈতিক পরিস্থিতির চাপে পড়ে স্বামীর সঙ্গে আলোচনা করে এক সাহসী সিদ্ধান্ত নেন দেবী রায়। সংসদের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন তিনি। তবে নিজের পড়াশোনা ছাড়েননি। পড়াশোনা চালিয়ে যেতে তিনি শেষে টোটো চালানোর সিদ্ধান্ত নেন। অনেক কষ্ট করে টাকা জমিয়ে জোগাড় করে ফেললেন একটি টোটো। এরপর প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যাত্রী নিয়ে রাস্তায় ছুটে চলেছেন দেবী রায়। টোটো চালিয়ে উপার্জিত অর্থ দিয়েই তিনি নিজের কলেজের ফিস মেটান এবং ধাপে ধাপে এগিয়ে চলেছেন শিক্ষার পথে।
এই অদম্য পরিশ্রমের ফলস্বরূপ তিনি শান্তিপুর কলেজ থেকে প্রথমে ভূগোলে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। কিন্তু এখানে তিনি থেমে থাকেননি। উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন নিয়ে ভর্তি হন স্নাতকোত্তরে এবং আবারও নিজের উপার্জনের মাধ্যমেই স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। রোদ, গ্রীষ্ম, বর্ষা কোন কিছুই তাকে থামাতে পারেনি। দিনের আলোয় টোটো চালানো আর রাতে পড়াশোনা, এভাবেই নিজের স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করেছেন দেবী রায়।
নিজের জীবন সংগ্রাম নিয়ে দেবী রায় বলেছেন, “এত শিক্ষিত হয়ে টোটো চালাবো কখনো স্বপ্নেও ভাবিনি। কিন্তু কোন কাজই ছোট নয়। নিজের স্বপ্নের জন্য আমি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। আমি অন্য কারোর কথায় কান দিইনি। শুধু নিজের লক্ষ্য ঠিক রেখেছি। আর সেভাবেই চলবো।”
স্বামী অমৃত বারুইও দেবীর পাশে দাঁড়িয়েছেন সবসময়। তিনি বলেন, “আমি সবসময় দেবীকে সমর্থন করেছি। আর্থিক অনটনের কারণে ও নিজেই নিজের উপার্জনের পথ খুলে নিয়েছে। আমি এতে বাধা দিইনি। আজ ও নিজেই নিজের সাফল্য অর্জন করেছে। আমি গর্বিত।”
বর্তমানে দেবী রায় একটি ভালো চাকরির খোঁজ করছেন। যতদিন না চাকরি পান, ততদিন টোটো চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তার এই অদম্য মানসিকতা এবং জীবন সংগ্রাম সত্যিই অনেকের জীবনে অনুপ্রেরণামূলক হতে পারে। প্রতিবেশীরাও দেবীর এই মানসিকতাকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন। তার এই লড়াই প্রমাণ করে, ইচ্ছাশক্তি ও পরিশ্রম থাকলে কোন কিছুই অসম্ভব থাকে না।
সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মনের মধ্যে এখন একটাই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে যে,…
আপনি যদি ৮ হাজার টাকারও কম রেঞ্জে বেশি র্যাম এবং দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের ফোন কিনতে চান,…
বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: চলতি ISL-এ ব্যর্থতার পর AFC চ্যালেঞ্জ লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে কার্যত বিফলে গিয়েছে…
রঙের উৎসব কাটতে না কাটতেই দক্ষিণবঙ্গে শুরু হতে চলেছে চরম দাবদহের তাণ্ডব (Heat Wave)। আবহাওয়া…
আপনিও যদি গুগল ক্রোম ওয়েব ব্রাউজার ব্যবহার করেন, তাহলে সাবধান! কারণ ভারত সরকারের সাইবার সিকিউরিটি…
শ্বেতা মিত্র, কলকাতা: যত সময় এগোচ্ছে ততই যেন অষ্টম বেতন পে কমিশন (8th Pay Commission)…
This website uses cookies.