UCO Bank Share: LIC, SBI-র কাছে শেয়ার বিক্রি করে ২০০০ কোটি জোটাল UCO ব্যাঙ্ক | UCO Bank Sell Their STock
সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: দেশের বৃহত্তম সরকারি মালিকাধীন UCO ব্যাংক তাদের Qualified Institutional Placement (QIP) প্রক্রিয়ার ইতি টেনেছে। গত বৃহস্পতিবার 27শে মার্চ, ব্যাংকের সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, তারা QIP এর মাধ্যমে 2000 কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহ করেছে। হ্যাঁ, মূলত লাইফ ইন্সুরেন্স কর্পোরেশন (LIC) এবং SBI Life Insurance সহ বিভিন্ন NPS ফান্ডের মাধ্যমে তারা এই শেয়ার বিক্রি করেছে বলেই জানা যাচ্ছে।
বেশ কিছু সূত্র খতিয়ে জানা গিয়েছে, ব্যাংকটির মোট শেয়ার বরাদ্দ ছিল 58.36 কোটি। ইসু প্রাইস নির্ধারণ করেছিল 34.27 টাকা প্রতি শেয়ার, যা বাজারের তুলনায় প্রায় 6.5% ছাড়ে চলছিল। তারা QIP লঞ্চ করেছিল গত 24শে মার্চ। ব্যাংক মনে করছে, এই শেয়ার বিক্রির ফলে তাদের পরিশোধিত শেয়ারের মূলধন 11,955 কোটি টাকা থেকে বেড়ে 12,559 কোটি টাকা হবে।
হিসাব বলছে, এই QIP-র অধীনে শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে সবথেকে বড় বিনিয়োগকারী হয়েছে LIC, যার মোট শেয়ারের পরিমাণ 24.33%। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। এছাড়া NPS ট্রাস্টের ফান্ড, ICICI Prudential Life Insurance, SBI Life Insurance ইত্যাদি সংস্থা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ শেয়ার কিনেছে। এক নজরে দেখে নিন QIP-র শীর্ষ বিনিয়োগকারীদের তালিকা।
খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, ভারতের সরকারি ব্যাংকগুলির উপর মিনিমাম পাবলিক শেয়ারহোল্ডিং নিয়ম অনুসরণ করার চাপ দিনের পর দিন বাড়ছে। বর্তমানে ভারত সরকার UCO ব্যাংকের প্রায় 95.39 শতাংশ শেয়ার দখল করে রেখেছে। আর সেই পরিমাণকে কমিয়ে আনতেই QIP-র মাধ্যমে শেয়ার বিক্রির পথে হেঁটেছে UCO ব্যাংক।
শুধু UCO ব্যাংক নয়। ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাংকও সম্প্রতি 1500 কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে QIP-র মাধ্যমে। পাশাপাশি সেন্ট্রাল ব্যাংক অফ ইন্ডিয়াও এই রাস্তায় তাদের ফান্ড রেইজ করেছে। ফলে পাবলিক শেয়ারহোল্ডারদের অংশগ্রহণ বাড়িয়ে ব্যাংকগুলি চাইছে বাজারের অবস্থান আরো শক্তিশালী করতে।
এই QIP ঘোষণার পর UCO ব্যাংকের শেয়ার বৃহস্পতিবার এক ধাক্কায় 2% বৃদ্ধি পেয়ে 36.69 টাকায় পৌঁছেছে। তবে এখনো ব্যাংকের শেয়ার তার বিগত 52 সপ্তাহের সর্বোচ্চ 62 টাকার তুলনায় অনেকটাই নীচে রয়েছে। হিসাব দেখলে বোঝা যাচ্ছে, প্রায় 38% পিছিয়ে রয়েছে বর্তমানে ব্যাংকের শেয়ার।
বেশ কিছু সূত্র বলছে, এই শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে UCO ব্যাংক তাদের আর্থিক ভিত্তি আরও মজবুত করবে এবং বাজারে তাদের প্রতিযোগিতামূলক স্থান টিকিয়ে রাখবে। এখন দেখার বিষয়, এই বিনিয়োগ কতটা লাভজনক হয় এবং ব্যাংকের ভবিষ্যৎ কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়।
ফ্ল্যাগশিপ ফোন মানেই বেশি দাম। কিন্তু সেটা একটু পুরনো হয়ে গেলেই দাম কমতে থাকে। ফলে…
Infinix Note 50X কোম্পানির নতুন বাজেট ফ্রেন্ডলি ফিচার সমৃদ্ধি ৫জি স্মার্টফোন। যা বেশ আলোড়ন ফেলেছে…
বাইক হোক বা স্কুটার, টু-হুইলার কেনার পর কিছুদিন না যেতেই ক্রেতাদের একাংশের তা নিয়ে অভিযোগের…
এখনকার সময়ে ভারতে ৮,০০০ টাকার মধ্যে 5G স্মার্টফোন খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন। কিন্তু কিছু ব্র্যান্ড…
চার চাকার বাজারে দেশ-বিদেশ মাতালেও দু’চাকার প্রতি এখনও পর্যন্ত টাটা মোটরসের কোনও আগ্রহ চোখে পড়েনি।…
সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: সোনা শুধুমাত্র একটি ধাতু নয়। বরং এটি সঞ্চয়, বিনিয়োগ, গয়না সবকিছুর এক…
This website uses cookies.