গত কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি গুজব ছড়িয়ে পড়েছে যে, UPI-এর মাধ্যমে নাকি ২০০০ টাকার বেশি পাঠালে অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে, তাও আবার জিএসটি সহ। এবার স্বাভাবিকভাবে সাধারণ মানুষের মধ্যে এই নিয়ে চরম উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। কিন্তু শেষমেষ সেই জল্পনায় জল ঢেলে কেন্দ্র সরকার স্পষ্ট বার্তা দিল।
কোন জিএসটি নয়, কেন্দ্র সরকারের সাফ বার্তা
গত ১৮ই এপ্রিল, শুক্রবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের তরফ থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, ২০০০ টাকার বেশি ইউপিআই লেনদেনে জিএসটি বসানো হবে, এরকম কোন পরিকল্পনা সরকার গ্রহণ করেনি।
এই ধরনের দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্যই ছড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ, এখন যদি ২০০০ টাকা বা তার বেশি ইউপিআই এর মাধ্যমে পাঠান, তাহলে আপনাকে অতিরিক্ত কোন ট্যাক্স বা চার্জ দিতে হবে না।
কীভাবে শুরু হয়েছিল এই দাবি?
মূলত এমডিআর বিষয়টিকে কেন্দ্র করে এই জল্পনার সূত্রপাত হয়েছিল। আগে কিছু ডিজিটাল লেনদেন, যেমন ডেবিট কার্ড বা ক্রেডিট কার্ডের ক্ষেত্রে জিএসটি বসানো হত। আর সেগুলিতে এমডিআর থাকতো। কিন্তু ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে সরকার একটি গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করে ইউপিআই ভিত্তিক জিএসটি তুলে নিয়েছিল। ফলে এখন দাঁড়িয়ে জিএসটি ধার্য করার প্রশ্নই ওঠেনা।
জিএসটি রেজিস্ট্রেশনে জারি নয়া নির্দেশিকা
শুধুমাত্র বিভ্রান্তিকর জবাব দেওয়াই নয়, বরং জিএসটি রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া এবার আরো সহজ করার পথে হেঁটেছে কেন্দ্র সরকার। অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে, আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় নীতিগুলির বাইরে অহেতুক কোন অতিরিক্ত কাগজপত্র এবার আর চাওয়া যাবে না। প্রয়োজন হলে কোন বাড়তি ডকুমেন্ট পাওয়ার জন্য ডেপুটি বা অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারের লিখিত অনুমোদন নিতে হবে।
এমনকি এও জানানো হয়েছে, সর্বোচ্চ সাতটি কর্ম দিবসের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। আর এই নির্দেশ এসেছে একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে। যেমন বহু মানুষ অভিযোগ করেছিলেন যে, আবেদন করার সময় তাদের থেকে অপ্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট নেওয়া হচ্ছিল। তাই সোশ্যাল মিডিয়ার গুজবে কান না দিয়ে সত্য তথ্যকে বিশ্বাস করা সবথেকে বুদ্ধিমানার কাজ হবে।