সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ আপনিও কি আগামী দিনে উত্তরবঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করছেন? তাহলে আপনার জন্য রইল দারুণ সুখবর। এবার সরকারের তরফে উত্তরবঙ্গের জন্য এমন এক পরিকল্পনা করা হয়েছে যার দরুণ সাধারণ মানুষের পাশাপাশি আগামী দিনে উত্তরবঙ্গে আগত পর্যটকের ভ্রমণের সংজ্ঞাটাই একদম বদলে যাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। সড়ক ব্যবস্থায় আসতে চলেছে বিরাট বদল। আর এর জন্য বিরাট পরিকল্পনা করেছে জাতীয় মহাসড়ক কর্তৃপক্ষ বা NHAI। আরও বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই প্রতিবেদনটির ওপর।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
উত্তরবঙ্গে তৈরি হবে নতুন সেতু!
জানা গিয়েছে, মহাসড়কে যানজট কমাতে শিলিগুড়িতে এবার এশিয়ান হাইওয়ে ২-এর অংশ হিসেবে মহানন্দা নদীর উপর আরেকটি সেতু নির্মাণের প্রস্তাব করেছে NHAI। এই পর্বে সোমবার জাতীয় মহাসড়ক-এর কর্মকর্তারা শিলিগুড়ি পৌর কর্পোরেশন (এসএমসি) অফিসে মেয়র গৌতম দেবের সঙ্গে দেখা করেন। সূত্রের খবর, বৈঠকে তারা প্রস্তাব করেন যে এশিয়ান হাইওয়ে ২-তে যান চলাচল সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য শহরের দক্ষিণ পাশে কাওয়াখালিতে নদীর উপর দ্বিতীয় সেতু নির্মাণ করা প্রয়োজন।
এদিকে এই নতুন সেতু যদি তৈরি করা হয় তাহলে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পর্যটকদের যাতায়াত ব্যবস্থা আরও বেশ খানিকটা শিথিল হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সময়ও কম লাগবে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে। এখানে জানিয়ে রাখি, AH2 হল ভারত-নেপাল সীমান্তে অবস্থিত পানিট্যাঙ্কিকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থিত ফুলবাড়ির সাথে সংযুক্ত করে। এই জায়গা থেকে বহু পর্যটক সারাবছর ভারত থেকে নেপাল কিংবা নেপাল থেকে ভারতে ভ্রমণ করতে আসেন।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
উপকৃত হবেন স্থানীয় থেকে পর্যটকরা
এই সড়কটি শিলিগুড়ির উত্তর-পূর্ব এবং দক্ষিণের মধ্য দিয়ে গেছে এবং সেটি আবার মহানন্দা নদীর উপর একটি সেতুর উপর দিয়েও গেছে। এই রাস্তাটি কিন্তু কাওয়াখালিকে ঠাকুর পঞ্চানন চকের সঙ্গে সংযুক্ত করে। বৈঠক প্রসঙ্গে গৌতম দেব জানান, “এনএইচএআই কাওয়াখালিতে মহানন্দা নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করছে। সোমবার, এনএইচএআই-এর কর্মকর্তারা আমাদের জানিয়েছেন যে এএইচ২-তে যান চলাচল সহজ করার জন্য এই সেতুটি খুবই জরুরি। তারা শীঘ্রই আমাদের এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে একটি প্রস্তাব জমা দেবেন এবং চলতি অর্থবছরের মধ্যেই নির্মাণ কাজ শুরু করতে চাইবেন। আমরা শীঘ্রই রাজ্য পিডব্লিউডির কর্মকর্তা, এসএমসির প্রতিনিধি এবং সংলগ্ন গ্রামীণ সংস্থাগুলির সদস্যদের সাথে যৌথভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করব।” অর্থাৎ উত্তরবঙ্গে সকলের সুবিধার্থে আরও একটা ব্রিজ তৈরি হওয়া শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা।