এটিএম থেকে টাকা তুলতে গিয়ে পিন নম্বর দিয়ে নিশ্চিন্তে দাঁড়িয়ে রয়েছেন, অথচ টাকা বেরোচ্ছে না? আপনি ভাবছেন হয়তো টাকা রিফান্ড হয়ে যাবে? আর সেই বিশ্বাস নিয়ে এটিএম বুথ (ATM Fraud) থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন? আর ঠিক সেই সুযোগেই প্রতারকরা আপনার আটকে যাওয়া টাকা তুলে নিয়ে পালাচ্ছে। হ্যাঁ, ঠিক এমনই একটি চাঞ্চল্যকর প্রতারণার ঘটনার সামনে এসেছে বালুরঘাট শহরে।
কীভাবে ঘটেছে প্রতারণা?
বেশ কিছু সূত্রের খবর অনুযায়ী, বালুরঘাট থানার অদূরে উত্তর চকভবানী এলাকায় একটি এটিএম বুথে প্রতারকরা মেশিনের টাকা বেরোনোর অংশে ঢাকনা খুলে দিয়ে তার ভিতরে সেলুটেপ লাগিয়ে দিয়েছিল।
আর এর ফলে কেউ যখন টাকা তোলেন, তখন টাকা আটকে যায় ওই মেশিনের ভিতরে। গ্রাহকরা ভাবে হয়তো যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে টাকা বের হয়নি। আর বুথ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পরে প্রতারকরা আটকে থাকা বের করে নেন।
ঠিক একইভাবে এক যুবক প্রতারিত হতে বসেছিলেন। তিনি নিজের এটিএম কার্ড দিয়ে পিন নম্বর ইনপুট করেছিলেন। তারপর টাকা অ্যাকাউন্ট থেকে কেটেও নেয়। কিন্তু তার হাতে টাকা আসে না। সন্দেহ করে তিনি অন্য একটি এটিএম-এ গিয়ে বিষয়টি সিকিউরিটি গার্ডকে জানান।
ধরা পড়লো প্রতারক
এরপর সতর্ক সিকিউরিটি গার্ড সঙ্গে সঙ্গে এটিএম সংস্থাকে খবর দিয়েছেন। ওই সংস্থার দুই প্রতিনিধি সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তারা যুবককে সঙ্গে নিয়ে আবারও সেই বুথে যান। কিছুক্ষণ পর এক যুবক বুথে ঢুকে মেশিনের ঢাকনা খুলে টাকা বের করে নেওয়ার চেষ্টা করাতে হাতেনাতে ধরা পড়ে।
এখানে আবহে উত্তেজিত জনতা প্রতারকদের ধরে কিছুটা মারধর করে এবং পরে বালুরঘাট থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, প্রতারকের সঙ্গে আরও কেউ কেউ জড়িত রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর এই পুরো ঘটনা তদন্ত চালানো হচ্ছে।
এলাকাবাসীর উদ্বেগ
এই ঘটনা নিয়ে গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশ্ন করছে, এটিএম বুথে যদি নির্দিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকত, তাহলে হয়তো এরকম প্রতারণা ঘটত না। আর পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘটনার সম্পূর্ণ সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হবে।
প্রশাসন মনে করছে, স্থানীয়দের তৎপরতার ফলেই এই বড় ধরনের প্রতারণা আটকানো গিয়েছে। তবে ভবিষ্যতে যাতে এরকম ঘটনা না ঘটে, সেজন্য শহরের প্রতিটি এটিএম বুথে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরো জোরদার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে।