এবার কন্যাশ্রী প্রকল্পে যুক্ত হল AI, টাকা পাওয়ার প্রক্রিয়া আরও সহজ হবে

আন্তর্জাতিক নারী দিবসের আগে একটি বড় পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। প্রযুক্তিকে আঁকড়ে ধরল অন্যতম জনপ্রিয় এক প্রকল্প। ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস ঘনিয়ে আসার সঙ্গেই, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কন্যাশ্রী প্রকল্পে একটি উদ্ভাবনী নতুন পদক্ষেপ চালু করেছে। বাল্যবিবাহ রোধ করা এবং স্কুলছাত্রীদের সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি আবেদনকারীরা কোনও সমস্যার সম্মুখীন না হন, তা নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ।

কন্যাশ্রী প্রকল্পটি এখন ১১ বছর ধরে চলছে, যার ফলে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৯০ লক্ষ মেয়ে উপকৃত হয়েছে। ২০২৪-২৫ সালে, ১৫.৭৫ লক্ষেরও বেশি মেয়ে ১,০০০ টাকার বার্ষিক বৃত্তির জন্য নিবন্ধন করেছে এবং ২ লক্ষেরও বেশি মেয়ে ২৫,০০০ টাকার এককালীন অর্থ পেয়েছে।

READ MORE:  পাঞ্জাব অ্যান্ড সিন্ধ ব্যাঙ্কে অঢেল শূন্যপদে নিয়োগ, শুরুতেই বেতন পাবেন ৪৮,৪৮০! জানুন পদ্ধতি

রাজ্য সরকারের অনুমান, চলতি বছরে এই প্রকল্পের মাধ্যমে ৫৯৩ কোটি টাকারও বেশি বিতরণ করা হয়েছে। তাহলে বুঝতেই পারছেন কতগুলো মেয়ের ভবিষ্যৎ এই প্রকল্পের সঙ্গে জড়িয়ে?

কন্যাশ্রী প্রকল্প নিয়ে কোন নতুন পদক্ষেপ?

কন্যাশ্রী প্রকল্পটি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ যা ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সী অবিবাহিত মেয়েদের, যারা স্কুলে ভর্তি হয়, আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য চালু করা হয়েছে। প্রকল্পটি দু’ টি পর্যায়ে পরিচালিত হয়:

কন্যাশ্রী ১: এই বিভাগের মেয়েরা তাদের শিক্ষা চালিয়ে যাওয়ার সময় বার্ষিক ১,০০০ টাকা আর্থিক সহায়তা পায়।

READ MORE:  7th Pay Commission: এই দিন ঘোষণা হতে পারে DA, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য বিরাট খবর | May Central Government Announce Dearness Allowance In February

কন্যাশ্রী ২: যদি এই মেয়েরা অবিবাহিত থাকে এবং ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যায়, তবে তারা এককালীন ২৫,০০০ টাকা পেমেন্ট পায়।

প্রতি বছর, লক্ষ লক্ষ নতুন মেয়ে কন্যাশ্রী প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত হয় এবং তাদের তথ্য, যেমন নাম, ঠিকানা, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিবরণ এবং IFSC কোড, অফিসিয়াল পোর্টালে আপলোড করা হয়। তবে, কখনও কখনও কিছু ভুল হয়ে যায় যেমন:

  • ভুলভাবে প্রবেশ করানো তথ্য (যেমন, ভুল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বা IFSC কোড)।
  • দুইজন শিক্ষার্থীর জন্য ডুপ্লিকেট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর।
  • আবেদন প্রক্রিয়া চলাকালীন অন্যান্য ছোটখাটো ত্রুটি।
READ MORE:  ৪ ঘণ্টার পথ মাত্র ২৫ মিনিটে! IIT-এর হাত ধরে ভারতে আছে প্রথম হাইপারলুপ ট্রেন

এই ধরনের ভুলগুলি প্রায়শই সুবিধা বিতরণে বিলম্ব করে, যা রাজ্য সরকার এড়াতে চায়। আর এই সমস্যা সমাধানেই AI-র হাত ধরেছে রাজ্য।

এই খাতে AI কীভাবে সাহায্য করবে?

এই সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবেদনের মসৃণ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার জন্য এআই চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন। নির্দেশ অনুসারে, এআই এখন আবেদনকারীর ডেটাতে অটোমেটিক ত্রুটি সনাক্ত করতে ব্যবহার করা হবে, যা অন্যথায় তথ্যের বিশাল পরিমাণের কারণে ম্যানুয়ালি সনাক্ত করা কঠিন হতে পারে। এটি সমস্যাগুলি দক্ষতার সঙ্গে সমাধান করতে সাহায্য করবে এবং প্রতিটি যোগ্য আবেদনকারীকে সময়মতো আর্থিক সুবিধা প্রদান নিশ্চিত করবে।