প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: শেষ পর্যন্ত নির্যাতিতার বাবা মায়ের আবেদনে সাড়া দিল সুপ্রিম কোর্ট। আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Case) পুনরায় তদন্তের আবেদনের শুনানির ভার কলকাতা হাইকোর্টকে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। আগামী সোমবার নির্যাতিতার বাবা মায়ের আবেদনের শুনানি হবে হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে। আর এই আবহেই আরজি কর কাণ্ডের তদন্তে ফের তৎপর হয়ে উঠল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI। তড়িঘড়ি সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠানো হল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের চেস্ট মেডিসিন বিভাগের ৪ নার্সকে।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
তলব করা হল ৪ জন নার্সকে
আরজি করের নির্যাতিতার পরিবার প্রথম থেকেই দাবি করে আসছিল যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI তদন্তভার হাতে নেওয়ার পর থেকে অনেককেই ঠিকভাবে সেইদিন রাগে কী ঘটেছিল সেই ব্যাপারে ভালোভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। যার মধ্যে অন্যতম ছিল সেই রাতে আরজি করে কর্তব্যরত সকল নার্স ও চিকিৎসকরা। অর্থাৎ তদন্ত মারফৎ কোনো কিছুই পরিষ্কার করে কোনো তথ্য উঠে আসছে না। তাঁদের বক্তব্য ছিল, সেই রাতে ঠিক কী ঘটেছিল, তার অনেকটাই জানেন তাঁরা। তাই নির্যাতিতার পরিবারের দাবি ছিল কর্তব্যরত সকল নার্স ও চিকিৎসকদের বয়ান তদন্তের আওতায় আনা হোক। আর সেখানেই উঠে আসছে ‘শম্পা দাস’ নামে এক নার্সের নাম।
উঠে এল শম্পা দাসের নাম
প্রথম থেকেই আরজি কর আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত আন্দোলনকারী ডাক্তাররা এই নার্স শম্পা দাসের নাম করেছিলেন। বলা হয়েছিল যে এর কাছে ভিডিও ফুটেজ থাকতে পারে। সূত্রের খবর, আজ তাই এই ৪ জন নার্সের মধ্যে তলব করা হল শম্পা দাসকে। মাঝখানে বেশ ভাইরাল হয়েছিল যে শম্পা দাস নামে এই নার্স নিজের ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছিলেন, তাঁর কাছে সেই রাতের একটি ভিডিয়ো ছিল, যেটি তিনি ডিলিট করতে বাধ্য হয়েছিলেন। এটা নিয়ে বিস্তর জল্পনা ছড়ায়। কিন্তু তিনি বরাবরই নিজেকে আড়াল করে রেখেছিলেন। এবার সেই ভিডিও ফুটেজ নিয়ে সরাসরি তলব করা হল শম্পাকে।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
আসলে ওইদিন রাতে আরজি কর মেডিক্যালের তরুণী চিকিৎসকের খুনি ও ধর্ষক সঞ্জয় রায়ের আত্মীয় ভর্তি ছিলেন ওই ওয়ার্ডেই। তাঁর সঙ্গে দেখা করতেই হাসপাতালে ঢুকেছিল সঞ্জয়। সেদিন তাঁর গতিবিধি ও হাবভাব কেমন ছিল তা জানার জন্যই আসলে আজ নার্সদের ডেকে পাঠানো হয়েছে। ঘণ্টা তিনেক জিজ্ঞাসাবাদের পর সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে যান সকলে। তখনই নার্স শম্পা দাসকে দাঁড় করিয়ে বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা ভিডিও ফুটেজ প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করে। কিন্তু তখন তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে তাঁর কাছে কোনো ফুটেজ নেই, সব মনগড়া কথা রটেছে।