প্রীতি পোদ্দার, বেইজিং: ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চিনে (China) প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্তের হদিশ মেলে। তারপর ঝড়ের গতিতে ভাইরাসটি বিশ্বের অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে করোনা-সংক্রমণকে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য উদ্বেগ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এরপর তা মহামারী ও অতিমারীর আকার নেয়। চারিদিকে মৃত্যুমিছিল, লকডাউন সারা বিশ্বের অর্থনীতির এবং সামাজিক অবস্থা একেবারে কাহিল করে দিয়েছে। বর্তমানে অবস্থা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকলেও ফের আতঙ্ক তৈরি করল করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
হাজির করোনার নয়া ভেরিয়েন্ট
জানা গিয়েছে, এই নতুন করোনা ভাইরাসের নাম HKU5-CoV-2। জানা গিয়েছে, SARS CoV-2 যা কোভিড ১৯ এর কারণ,তারই মতো একই মানব রিসেপটার ব্যবহার করে এই ভাইরাস। প্রাথমিক পরীক্ষায় বিভিন্ন গবেষণার পর যে তথ্য উঠে এসেছে সেই সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ভাইরাস মানুষের শরীরে সংক্রমিত হবে। HKU5-CoV-2 -এর সেল-সারফেস প্রোটিনের গঠন হুবহু সার্স-কোভ-২-এর মতোই। সেখানকার চিনা গবেষক দল এই ভাইরাস নিয়ে একটি চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন। আর এই দলে রয়েছে “Batwoman” নামে পরিচিত ভাইরোলজিস্ট শি ঝেঙ্গলি।
কতটা ভয়ঙ্কর এই ভাইরাস?
বিগত কয়েক মাস ধরে চিনে হঠাৎ করে হিউম্যান মেটা নিউমোভাইরাস বা HMPV সংক্রান্ত রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়তে থাকায় ফের করোনার উদ্বেগ তৈরি হয়। তার উপর ইদানিং চিনের সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যাচ্ছে মাস্ক পরিহিত বহু মানুষের আধিক্য ক্রমেই বাড়ছে সেখানের হাসপাতালগুলিতে। তবে স্বস্তির বিষয় হল স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, HMPV, কোভিডের মতো ভয়াবহ নয়। কিন্তু বিপদের শঙ্কা একবার মনে প্রবেশ করলে সহজে ভয় কাটেনা। আর সেই ভয় ভীতির মাঝেই উদ্ভব হল HKU5-Cov-2 ভাইরাস। যাকে ঘিরে আতঙ্ক শুরু হয়েছে। এদিকে, কোথা থেকে এই ভাইরাস ছড়াচ্ছে, তা এখনও পর্যন্ত ঠিকভাবে জানা যায়নি।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
কিন্তু সেখানকার চিনা গবেষকদের তরফে জানা যাচ্ছে, এটি বাদুড় থেকে ছড়াচ্ছে। আর তা কোনও মধ্যবর্তী পশুর দেহ হয়ে মানুষের দেহে আসছে। জানা গিয়েছেহংকং-এ এক ধরনের জাপানি বাদুড়ের শরীরে প্রথম এই ভাইরাসকে পাওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। ঝুঁকি হিসাবে মনে করা হচ্ছে, এই ভাইরাস মানব দেহের কোষে আক্রমণ করতে পারে। এবং তার ফলাফল আদেও করোনা মহামারির মত এফেক্টেড হয় কিনা সেটাই দেখার।