প্রীতি পোদ্দার, কল্যাণী: পরপর কয়েক বছর ধরে একের পর এক বাজি কারখানার বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল গোটা বাংলা। পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার চম্পাহাটি ও মহেশতলায় একের পর এক বিস্ফোরণ ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল এলাকার মানুষদের। এবার সেই আবহে ফের ফিরে এল সেই ভয়ংকর স্মৃতি। ভরদুপুরে সবাই যখন ভাতঘুমে কাতর ঠিক তখনই কেঁপে উঠল কল্যাণী।
আমাদের সাথে যুক্ত হন
Join Now
ঘটনাটি কী?
সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ শুক্রবার দুপুর দুটো নাগাদ রথতলার একটি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে যায়। চারদিকে কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে। এমনকি চারিদিক পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে, তার মধ্যে থেকেই বের করা হচ্ছে একের পর এক ঝলসানো মৃতদেহ। আপাতত ৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। এদের মধ্যে রয়েছেন ৩ জন মহিলা। আহতদের কল্যাণীর JNM হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে রানাঘাট পুলিশ জেলার SP ও কল্যাণী থানার পুলিশ।
কয়েক ঘণ্টার পর নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন
পুলিশ সূত্রে খবর কল্যাণীর রথতলার ওই কারখানায় নিয়মিত শব্দবাজি তৈরি করা হত। এদিনও কর্মীরা বাজি তৈরি করছিল কিন্তু অসাবধানতাবসত এক তীব্র বিস্ফোরণ ঘটে। সঙ্গে সঙ্গে কারখানায় আগুন লেগে যায়। এবং কারখানার ছাদ উড়ে যায়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে। আওয়াজ পেয়েই ছুটে আসে এলাকাবাসী। দমকলকে খবর দিলেও তা আসার আগে স্থানীয়রাই টিউবওয়েল থেকে বালতি বালতি জল এনে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। শেষে দমকলে এসে কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তবে কতজন শ্রমিক ওই কারখানায় কাজ করত তা এখনও জানা যাচ্ছে না।
এর আগে পুজোর মরসুমে চম্পাহাটির হাঁড়ালে বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছিল। ভয়ংকর আগুনে ঝলসে গিয়েছিলেন মহিলা-সহ ৩ জন। গুরুতর জখম অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছিল হাসপাতালে। তার মধ্যে মৃত্যু হয়েছিল একজনের। যদিও সেই বাজি কারখানার লাইসেন্স ছিল। কিন্তু বেশ কিছু বাকি সংক্রান্ত অনিয়ম থাকার কারণে এবং দীর্ঘদিনের মজুত বাজিতে শেষে এক বড় বিস্ফোরণ হয়। আর তাতেই ফের আঙুল উঠছে প্রশাসনের দিকে। এমনকি গত বছর বেআইনি বাজি কারখানার বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল গোটা দত্বপুকুর এলাকা। সেই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ৯ জনের। আজকের ঘটনায় যে আরও কত লোকের মৃতদেহ মিলবে তা নিয়ে বেশ সংশয়ে রয়েছে সকলে।