সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: দেশজুড়ে ভারত-পাকিস্তান টানাপোড়েন নিয়ে টালমাটাল অবস্থা। আর এরই মধ্যে উঠে আসলো ইতিবাচক খবর। হ্যাঁ, মোদি সরকারের জন্য বিরাট প্রাপ্তি। সম্প্রতি বিশ্ব ব্যাঙ্কের রিপোর্টে (World Bank Report) উঠে এসেছে চমক দেওয়া তথ্য। দেখা যাচ্ছে, গত এক দশকে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে ভারত লড়াইয়ে ঐতিহাসিক সাফল্য পেয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
17 কোটি মানুষ চরম দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পেয়েছে!
বিশ্ব ব্যাঙ্কের সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, 2011-12 থেকে 2022-23 সালের মধ্যে ভারতের প্রায় 171 মিলিয়ন অর্থাৎ 17 কোটির বেশি মানুষ চরম দারিদ্র্যতার সীমা থেকে বেরিয়ে এসেছে। হ্যাঁ, যেখানে আগে প্রতিদিন 180 টাকার কম আয় করা মানুষের সংখ্যা ছিল 16.2%, এখন তা দাঁড়িয়েছে মাত্র 2.3 শতাংশে।
শহর এবং গ্রামের মধ্যে ব্যবধান কমছে দারিদ্র্যের
এই উন্নতির ধারা শুধুমাত্র শহরে নয়, বরং গ্রামেও সমানভাবে প্রভাব ফেলছে। হ্যাঁ, রিপোর্ট বলছে, গ্রামাঞ্চলের দারিদ্র্যতার হার 18.4% থেকে কমে 2.8 শতাংশে ঠেকেছে। আর শহরাঞ্চলে 10% থেকে নেমে মাত্র 1.1 শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আর একত্রে সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, শহর ও গ্রামের মধ্যে দারিদ্র্যের ব্যবধান আগে ছিল 7.7 শতাংশ, আর এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র 1.7%।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
ভারত এখন নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশ
শুধু এখানেই শেষ নয়, বিশ্ব ব্যাঙ্কের রিপোর্টে আরও জানা যাচ্ছে, ভারতের দারিদ্র্য সীমার মাপকাঠিতে প্রচুর অগ্রগতি হয়েছে। জানা যাচ্ছে, 61.8 শতাংশ দারিদ্র্যের হার নেমে এসেছে 28.1 শতাংশে। অর্থাৎ, প্রায় 37 কোটি 80 লক্ষ মানুষ দারিদ্র্যসীমার উপরে উঠে গিয়েছে। আর এই বিরাট পরিবর্তনে সবথেকে বেশি ভূমিকা নিয়েছে উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং মধ্যপ্রদেশের মত রাজ্য। যদিও উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ভারতের সবথেকে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর 54 শতাংশ মানুষ আজও এই পাঁচটি রাজ্যে বসবাস করে।
কর্মসংস্থানেও ইতিবাচক সংকেত
বিশ্ব ব্যাঙ্কের রিপোর্টে আরও এক ইতিবাচক সংকেত দেখা যাচ্ছে। হ্যাঁ, 2021-22 সাল থেকে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হার তুলনামূলকভাবে অনেকটাই দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে। সূত্র বলছে, মহিলাদের কর্মসংস্থানের হার বেড়েছে। শহরে বেকারত্বের হার কমেছে 6.6 শতাংশ। আর 2017-18 সালের পর থেকে এটি সবথেকে সর্বনিম্ন। শুধু তাই নয়, গ্রামাঞ্চলে কৃষিকাজে নারীদের অংশগ্রহণ এবং শহরাঞ্চলে পুরুষদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধির প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
বিশ্ব ব্যাঙ্কের এই রিপোর্ট একদিকে যেমন ভারতের অগ্রগতিকে তুলে ধরছে, তেমনই কিছু কিছু চ্যালেঞ্জ চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। কারণ যুবকদের মধ্যে এখনও বেকারত্বের হার 13.3 শতাংশ এবং স্নাতক যুবকদের মধ্যে তা 29 শতাংশে পৌঁছেছে। তাদের উন্নতির পথে এগিয়ে যেতে হলে এখন দরকার উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো এবং কর্মসংস্থান।