প্রীতি পোদ্দার, রায়পুর: বছরের শুরু থেকেই ছত্তিশগড়ের একাধিক জায়গায় মাওবাদী হামলার (Chattisgarh Encounter) ঘটনা ঘটছে। রিপোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে এ বছর ছত্তিশগড়ে পৃথক সংঘর্ষে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ৮১ জন মাওবাদী নিহত হয়েছে। যার মধ্যে বিজাপুর সহ সাতটি জেলা রয়েছে। আর এই আবহে ফের ছত্তিশগড়ে লাল সন্ত্রাসের হদিশ মিলল। নিরাপত্তারক্ষীর গুলির আঘাতে প্রাণ গেল একাধিক মাওবাদীর।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
নিহত একাধিক মাওবাদী
সূত্রের খবর, ছত্তিশগড় পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা এ দিন সকালে গঙ্গালুর থানা এলাকায় বিজাপুর জেলায় মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামেন। এলাকা ঘিরে মাওবাদীদের ধরতে শুরু হয় চিরুনি তল্লাশি। তখনই পুলিশদের দেখে ফেলে জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা মাওবাদীরা। সঙ্গে সঙ্গে তাদের উদ্দেশে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে শুরু করে মাওবাদীরা। সকাল ৭টা থেকে শুরু হয় বিজাপুর ও দান্তেওয়াড়া জেলার সীমানায় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে নিরাপত্তারক্ষীদের দুটি পৃথক এনকাউন্টারে নিহত হয় ২২ জন মাওবাদী। বিপরীত পক্ষে মাওবাদীদের গুলিতে মারা যান ছত্তিসগড় ডিসট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ডের এক পুলিশ কর্মী।
সকাল থেকেই শুরু হয় অভিযান
সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী জানা গিয়েছে কিছুক্ষণ আগেই ছত্তিশগড় পুলিশের তরফে এক বিবৃতি প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে জানানো হয়েছে যে ছত্তিশগড় পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স এবং সিআরপিএফ জওয়ানদের যৌথ বাহিনী আজ সকাল থেকেই অভিযান চালিয়েছে বিজাপুর ও কাঁকের জেলায়। উভয় জায়গাতেই প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র এবং বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে যৌথ বাহিনী। গুলির আঘাতে নিহত হয়েছে অনেক মাওবাদী। এখনও অব্যাহত রয়েছে অপরেশন। জঙ্গলে মাওবাদীদের একদল সিনিয়র ক্যাডারকে আটক করা হয়েছে এবং দিনের শেষে আরও হতাহতের খবর মিলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গত ১৬ জানুয়ারি ১২ মাওবাদী নিহত হয় যৌথ বাহিনীর অভিযানে। ওই মাসেই আরও এক অভিযানে খতম হয় ২০ মাওবাদী।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
এছাড়াও চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতেও বিজাপুরে সিআরপিএফ এবং ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ৩১ জন মাওবাদী গেরিলা নিহত হয়েছিলেন। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেছেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী। সেই বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন যে, রাজ্যের পর্যটনকে গুরুত্ব দেওয়া লক্ষ্যে সবার আগে মাওবাদীদের সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করতে হবে। যদিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও আগে জানিয়েছিলেন, আগামী বছরের মার্চ মাসের মধ্যেই দেশ থেকে মাওবাদীদের একেবারে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হবে। তাই এবার সেই লক্ষ্যেই পথে নেমেছে জওয়ানরা।
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।