রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় ডিএ হারের মধ্যে ৩৫% ব্যবধান চাপ বাড়াচ্ছে সরকারের। পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্য কর্মচারীদের জন্য ডিএ বৃদ্ধি করলেও, অসন্তোষ আরও বাড়িয়ে তুলছে। একই সময়ে, মলয় মুখার্জি আবার নতুন দাবি করে একটি পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই পোস্টটি ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে, তবে এর পরে কোনও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হবে কিনা তা এখনও দেখার বিষয়।
ঠিক কী ঘটেছে?
পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারীদের এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে মহার্ঘ্য ভাতা (ডিএ) নিয়ে চলমান বিরোধ আলোচনার একটি প্রধান বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি, রাজ্য সরকার ৪% ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করেছে, এখন ১৮% এ এসে দাঁড়িয়েছে মহার্ঘ ভাতার পরিমাণ। ১ এপ্রিল থেকে এই বৃদ্ধি কার্যকর হওয়ার কথা। তাও সন্তুষ্ট নন কর্মচারীরা।
বর্তমানে, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা ষষ্ঠ বেতন কমিশন অনুসারে ১৪% ডিএ হার পাচ্ছেন। এপ্রিল থেকে শুরু করে, এটি ১৮% বৃদ্ধি পাবে। তবে, এই বৃদ্ধির পরেও, একটি বড় উদ্বেগ রয়ে গিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের তুলনায়, যারা বেশি ডিএ হার পান।
এই বৈষম্য অনেক রাজ্য সরকারি কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষের সৃষ্টি করেছে। তাঁরা মনে করেন যে কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারীদের তুলনায় তাঁদের কম বেতন দেওয়া হচ্ছে।
সরকারি কর্মচারীদের এখন নতুন দাবি
এই অস্থিরতার মধ্যে, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের কনফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখার্জি একটি নতুন দাবি উত্থাপন করেছেন। তিনি নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পর্কে একটি পরামর্শ দেওয়ার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন।
তাঁর পোস্টে, তিনি জাল ভোট এবং প্রক্সি ভোটদানের মতো সমস্যা রোধ করতে আধার কার্ডের সাথে বায়োমেট্রিক ভোটদানের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। মুখার্জি উল্লেখ করেছেন যে রেশন কার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং সিম কার্ডের মতো বিভিন্ন পরিষেবার জন্য আধার লিঙ্কিং ইতিমধ্যেই বাধ্যতামূলক, তবুও ভোটার কার্ডগুলি ব্যতিক্রম কেন?
এমনটাই উল্লেখ করে তিনি পরামর্শ দিয়েছেন যে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলগুলির উচিত বায়োমেট্রিক ভোটদান ব্যবহার করে নির্বাচন পরিচালনা করার দাবি করা, ভোটার কার্ডগুলিকে আধার কার্ডের সাথে সংযুক্ত করা।
তাঁর মতে, এই পদক্ষেপ ভোটদান ব্যবস্থার অপব্যবহার, বিশেষ করে জাল এবং প্রক্সি ভোটদানের সমস্যাগুলি রোধ করবে। তবে, আপাতত, কর্তৃপক্ষ বা সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলগুলি কীভাবে এই দাবির সমাধান করবে তা স্পষ্ট নয়।