নিয়োগের নির্দেশ অমান্য রাজ্য সরকারের! শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের জোর ধমক হাইকোর্টের

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে বারংবার কলকাতা হাইকোর্টের কাছে ধাক্কা খেতে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে। মোটা টাকার বিনিময়ে অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি দেওয়ার ফল হিসেবে এখন জেলের ঘানি টানতে হচ্ছে শাসকদলের হেভিওয়েট নেতাদের। ED র চার্জশিটে উঠে আসছে একের পর এক তথ্য। আর এই আবহে একাধিক বার হাই কোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ সত্ত্বেও ২০০৯ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এখনও চাকরি পাননি বেশ কিছু প্রার্থী। যা নিয়ে মামলা করা হলে শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে আদালতে।


গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন

Join Now

আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও চুপ রাজ্য

গত বছর ২৫ এপ্রিলে ২০০৯ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মোট ৮৭৮ জনকে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা। যার ফলেমালদহ এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় প্রাথমিক শিক্ষকের কিছু শূন্যপদ এখনও আটকে রয়েছে। যার ফলে এই সংক্রান্ত মামলায় সম্প্রতি হাই কোর্ট নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশ ক্রমেই অমান্য করে চলেছে শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা। দেড় বছর ধরে নানা অজুহাতে নিয়োগ আটকে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। একাধিক বার হাই কোর্টের নির্দেশ অমান্য করা হয়েছে। কোনও না কোনও অজুহাত দেখিয়ে নিয়োগ বন্ধ করে দিচ্ছেন।

READ MORE:  অনলাইনে প্রশিক্ষণ, রাজ্য পুলিশের পদোন্নতি ব্যবস্থায় বিরাট বদল আনছে নবান্ন

ভয়ংকর প্রশ্নের মুখে শিক্ষা দফতর!

কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন। সূত্রের খবর এইমুহুর্তে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ না করার এক নতুন কারণ জানিয়েছে শিক্ষা দফতর। আর সেটি হল প্রার্থীদের অ্যাডমিট কার্ডের সমস্যা। গতকাল অর্থাৎ বুধবার হাইকোর্টে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে এই মামলাটি উঠলে রাজ্যের শিক্ষা দফতরের প্রতি তিনি তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন। গোটা বিষয় পর্যবেক্ষণ করে আদালতের বক্তব্য, এটি হল এক নতুন অজুহাত। এছাড়াও বিচারপতি মান্থা জানিয়েছেন, “আদালতের ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছেন ওই আধিকারিকেরা। তাঁদের এই নতুন যুক্তি আসলে চাকরি না-দেওয়ারই অজুহাত। টানা ১৬ বছর ধরে চাকরির জন্য ঘুরছেন ওই প্রার্থীরা। আজ তাঁরা যদি আত্মঘাতী হয় তাহলে কি চাকরি দেওয়া হবে?”


বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে

Join Now

আইনি নিয়ম অনুযায়ী, আদালতের নির্দেশ না-মানলে এই শিক্ষা আধিকারিকদের কারাবাসের শাস্তি হওয়া উচিত। সে ক্ষেত্রে কেন এই নিয়ম খাটবে না, তা জানতে চেয়েছেন বিচারপতি। জানা গিয়েছে আগামীকাল অর্থাৎ শুক্রবার, এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। সে দিন সশরীরে এজলাসে হাজিরা দিতে হবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের। এছাড়াও তিনি রাজ্যের শিক্ষা দফতরের চেয়ারম্যান এবং ওই দুই জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানের কাছ থেকে এ বিষয়ে জবাব তলব করেছেন।

READ MORE:  বাঘে-মানুষে মরণ বাঁচন লড়াই! বন কর্মীকে আক্রমণ রয়েল বেঙ্গল টাইগারের, আতঙ্কে কাঁটা মৈপীঠ
Scroll to Top