প্রীতি পোদ্দার, পাটনা: গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে বিহার বোর্ডের ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষা (Bihar Board 10th Exam)। দুটি শিফটে চলছে এই পরীক্ষা। সব মিলিয়ে এবছর ১৫ লক্ষেরও বেশি পরীক্ষার্থী মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে। সেই কারণে রাজ্য জুড়ে ১৬০০ টিরও বেশি পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে, যার মধ্যে ৭৩টি কেন্দ্র কেবল রাজধানী পাটনায়। প্রতিটি কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে এবং পুলিশ বাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে যাতে পরীক্ষাকেন্দ্রে কোনো ঝামেলা ঝঞ্ঝাট তৈরি না হয়। তবে এবার বিহারে মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় এক আজব ঘটনা ঘটল। একরাশ ছাত্রীদের মাঝে একটি মাত্র ছেলে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
মেয়েদের সঙ্গে দিতে হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা!
জানা গিয়েছে বিহারের গয়া জেলার শেরঘাটিতে অবস্থিত SMSG কলেজকে মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য ছাত্রীদের পরীক্ষার কেন্দ্র করা হয়েছে। কিন্তু ছাত্রীদের জন্য এই পরীক্ষাকেন্দ্র হলেও তাদের মাঝখানে এবার পরীক্ষা দিচ্ছে রকি কুমার নামে একজন ছাত্র। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। আসলে মাধ্যমিকের রেজিস্ট্রেশন ফর্ম পূরণ করার সময় লিঙ্গ নির্বাচন করার ক্ষেত্রে একটি কলাম দেওয়া থাকে। সেখানে তিনটি বক্স থাকে। একটি বক্সে পুরুষ, দ্বিতীয় বক্সে মহিলা এবং তৃতীয় বক্সে অন্য কেউ এর অপসন ছিল। কিন্তু ভুল বশত তার ফর্মের ক্ষেত্রে পুরুষ বাক্সে টিক দেওয়ার পরিবর্তে মহিলা বাক্সে টিক দেওয়া হয়েছে। যার ফলে এমন পরিস্থিতির শিকার হতে হয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে রীতিমত মেয়ে পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে পরীক্ষা দিতে হচ্ছে রকিকে।
কী বলছে রকি কুমার?
এই বিষয়ে পরীক্ষার্থী রকি কুমার এর সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, পরীক্ষার ফর্ম পূরণ করার সময় নাকি স্কুলের শিক্ষকরাই একটি ভুল করেছিলেন, যার কারণে তাকে একা এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তার স্কুলের অন্য সব বন্ধুদের পরীক্ষার কেন্দ্র গয়া শহরের অন্য একটি স্কুলে পড়লেও রকি একমাত্র ছেলে হয়েও মেয়েদের মধ্যে বসে পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। তবে সেক্ষেত্রে পরীক্ষা দিতে তার কোনও ধরণের সমস্যা হচ্ছে না বলে তিনি জানিয়েছেন।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে বিহার বোর্ড নানা সতর্কতা জারি করেছে। বোর্ডের তরফে আগেই জানানো হয়েছে যে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার হলে ক্যালকুলেটর, মোবাইল ফোন, ব্লুটুথ, ইয়ারফোন ইত্যাদি ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র বহন করতে পারবে না। সেক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও কেউ যদি তা নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে আসে তাহলে তাদের পরীক্ষা বাতিল করা হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয় ২ বছরের জন্য পরীক্ষা নিষিদ্ধও করা হতে পারে।