বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: পাকিস্তানে এবার বাংলাদেশের ছবি! অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ধুঁকতে থাকা পশ্চিম দিকের দেশ পাকিস্তান (Pakistan) এবার আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিরাট লজ্জার মুখে পড়েছে! খোঁজ নিয়ে জানা গেল, বাংলাদেশের মতোই বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হিমশিম খাচ্ছে ভারত বিরোধী পাকিস্তান। সূত্রের খবর, বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার জন্য ইতিমধ্যেই রাজধানী কাবুলে অবস্থিত পাকিস্তানি দূতাবাসকে সতর্ক করেছে আফগানিস্তান।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
বকেয়া পরিশোধ করতে হিমশিম খাচ্ছে পাকিস্তান
বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, কাবুলে অবস্থিত পাকিস্তানি দূতাবাসের বিদ্যুৎ বিলের বকেয়া ইতিমধ্যেই 10 লক্ষ 33 হাজার 530 আফগানি ছাড়িয়ে গিয়েছে। পাকিস্তানি মুদ্রায় হিসেবটা প্রায় 40 লক্ষ রুপি। আফগান বিদ্যুৎ বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব এই বিদ্যুৎ বিলের বকেয়া পরিশোধ করুক পাকিস্তান। সূত্রের খবর, আফগানিস্তানের বিদ্যুৎ বোর্ড পাকিস্তানে মোটা অঙ্কের বিল ও একটি বড় নোট পাঠিয়েছে। আর সেখানেই দ্রুত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের আবেদন জানানো হয়েছে প্রতিবেশী আফগানিস্তানের তরফে।
বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দিয়েছে আফগানিস্তান!
আফগানিস্তান বিদ্যুৎ বোর্ডের তরফ জানানো হয়েছে, পাকিস্তানের কাছে বিদ্যুৎ বিলের বকেয়া চেয়ে বারংবার নোটিশ পাঠানো সত্ত্বেও দেশটির তরফে কোনও রকম সাড়া মেলেনি। এমতাবস্থায়, শেহবাজ শরীফের দেশকে বকেয়া বিলের মোটা রশিদ ধরিয়ে তা যত দ্রুত সম্ভব পরিশোধ করার আবেদন জানিয়েছে আফগানিস্তান।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
আফগান বিদ্যুৎ বোর্ডের জারি করা সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, আফগানিস্তানে অবস্থিত পাকিস্তানি দূতাবাসের বিদ্যুৎ বকেয়া যত দ্রুত সম্ভব পরিশোধ করুক পাকিস্তান। অন্যথায়, পাকাপাকিভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেবে বোর্ড।
বলে রাখি, পাকিস্তান যদি বিদ্যুৎ বিলের বকেয়া পরিশোধ না করে সেক্ষেত্রে খুব শীঘ্রই বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দিতে পারে আফগানরা। যা(Pakistan) জেরে আদতে ক্ষতি হবে পাকিস্তানেরই। সূত্র বলছে, প্রতিবেশী আফগানিস্তান যদি বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয়, সে ক্ষেত্রে পাকিস্তানের সাথে সব ধরনের যোগাযোগ চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে দূতাবাস কর্মীদের।
অবশ্যই পড়ুন: KKR-র বারবার হারের পিছনে আসল কারণ কী? জানালেন সৌরভ
প্রসঙ্গত, দেশে সন্ত্রাসবাদীদের বাড়বাড়ন্ত ও দুর্বল অর্থনীতি নিয়ে একেবারে কোণঠাসা হয়ে গিয়েছে শেহনাজ শরীফের সরকার। এমতাবস্থায়, পাকিস্তানি দূতাবাসের বিদ্যুৎ বকেয়া নিয়ে পড়শি আফগানিস্তানের হুঁশিয়ারি যথেষ্ট চাপে ফেলেছে ভারতের পশ্চিম দিকের দেশটিকে।
যদিও সম্প্রতি, দেশের দুর্বল অর্থনীতির প্রসঙ্গ ভুলে পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ জানিয়েছিলেন, দেশে যে পরিমাণ খনিজ সম্পদ মজুদ আছে, তা সম্পূর্ণরূপে উত্তোলনের পর ব্যবহার করা গেলে পাকিস্তানের দারিদ্রতা ঘুঁচে যাবে! আগামী দিনে আর উন্নত বিশ্বের ওপর নির্ভর করতে হবে না তাদের।