শ্বেতা মিত্র, কলকাতা: সরগরম যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur Universiy)। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচর্যকেও হেনস্থা করা হয়েছে বলে এবার অভিযোগ। এরকম চলতে থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিতে হবে, এবার এরকম কথাও বললেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
বন্ধ হয়ে যাচ্ছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়?
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল দাবানলের মতো। পক্ষে বিপক্ষে উঠে এসেছে বিভিন্ন মতামত। এরপর ঘটনার রাতে উপাচার্য ভাস্কর গুপ্তকেও হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে বলে অভিযোগ। তাঁর বক্তব্য তুলে ধরে সংবাদ মাধ্যমে লেখা হয়েছে, “এরকম চললে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিতে হবে, সরকার সিদ্ধান্ত নিক।”
ঘটনার পর গ্রেফতার করা হয়েছে সাহিল আলী নামের এক প্রাক্তন ছাত্রকে। তিনি DYSA নামে একটি বাম সংগঠনের কর্মী বলে জানা যাচ্ছে। শুধু সাহিল নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূলের শিক্ষাবন্ধু সমিতির অফিসে ভাঙচুর ও আগুন লাগানোর ঘটনায় ১৮ জনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অভিযুক্তের তালিকায় সাহিলের নাম রয়েছে বলে খবর। সব মিলিয়ে জমা পড়েছে একাধিক অভিযোগ।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
ফের শিক্ষাঙ্গনে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি
একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। গাড়ির তলায় এক আন্দোলনরত ছাত্র। বলা হচ্ছিল, শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির তলায় ছিল সেই ছাত্র। এই ছাত্রের নাম ইন্দ্রনুজ রায়। আহত অবস্থায় আপাতত হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ইন্দ্রানুজ RSF নামে একটি অতিবাম সংগঠনের কর্মী বলে খবর।
যাবদপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ঘটনার পর নতুন করে চাপে পড়তে শুরু করেছে বামেরা। রাজনৈতিক মহলের শুরু হয়েছে উত্তেজনা। ঘটনার রাতেই রাজ্যের একাধিক জায়গায় সিপিএমের পার্টি অফিসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে, এমন খবরও খবরে উঠে এসেছে। এক্ষেত্রে অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। সোমবার রাজ্যে ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে এসএফআই। যদিও রবিবার থেকেই প্রতিবাদে সোচ্চার হতে শুরু করেছে এসএফআই কর্মীরা।