বাংলার এক জেলাতেই ১০ কোটি টাকার মদ বিক্রি! দোলে বিপুল লক্ষ্মীলাভ রাজ্য সরকারের

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতাঃ দোল এবং হোলির উৎসবে মেতেছিল গোটা রাজ্য তথা দেশবাসী। আর এই রঙের উৎসবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নেশার চাহিদা আকাশছোঁয়া হয়েছিল। সরকারের একটি হিসাব অনুযায়ী, মাত্র দুইদিনে মালদা জেলায় মদ বিক্রির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭.৫ কোটি টাকা (Record Wine Sell In Bengal)। হ্যাঁ একদম ঠিকই শুনেছেন। তবে বেসরকারি হিসাবে এই অঙ্ক ১০ কোটি টাকারও উপরে।


গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন

Join Now

কেন এত বেশি মদ বিক্রি হল?

রঙের উৎসব মানেই আনন্দ, হই-হুল্লোড় আর নাচানাচি। আর এই উদযাপনের মূল সঙ্গী মদ। মালদার বিভিন্ন মদের দোকানে রঙের মরসুমের আগে থেকেই ভিড় জমতে শুরু করেছিল। দোল এবং হোলির জন্য আগেভাগেই মদ মজুদ করে রেখেছিল ব্যবসায়ীরা। দুই দিনের ছুটির কারণে উৎসবের আগের দিন থেকে শুরু হয়েছিল মদের কেনাকাটা। এমনকি শহর থেকে গ্রাম সব জায়গায় ছিল ব্যাপক পরিমাণে চাহিদা। জানলে চমকে উঠবেন, মুদিখানা ও পানের দোকানেও বিশেষ দিনে মদ বিক্রির প্রবণতা দেখা গেছে।

READ MORE:  আরজি কর কাণ্ডের জের? বহু চিকিৎসকের বেতন বন্ধ করল রাজ্য সরকার

হিসাব কী বলছে?

জেলা আবগারি দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সরকারি হিসাবে শুধু অফ-সপ থেকে অর্থাৎ, যেখানে শুধুমাত্র মদ কেনা যায়, খাওয়া যায় না সেখান থেকে ৭.৫ কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়েছে। তবে এই হিসাবের মধ্যে অন-সপ অর্থাৎ, যেখানে বসে পান করা যায় এবং গ্রামাঞ্চলে বেসরকারিভাবে মদ বিক্রি হওয়ার হিসাব ধরা হয়নি।


বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে

Join Now

বেসরকারি হিসেবে জেলার ১৫০টির বেশি লাইসেন্সপ্রাপ্ত দোকান থেকে মোট ১০ কোটি টাকার বেশি মদ বিক্রি হয়েছে। যদিও গত বছরের তুলনায় এই বিক্রি কিছুটা কম। কারণ রমজান মাস থাকায় ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা মদ কেনা থেকে এই সময় বিরত থেকেছেন। গত বছর রঙের উৎসবে ১২ কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়েছিল।

READ MORE:  ‘বিগ জিরো’ রাজ্যের কর্মকাণ্ডে চরম ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট! নেপথ্যে কারণ কী?

ব্যবসায়ীরা কী বলছেন?

মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি উজ্জ্বল সাহা বলেছেন, “এই জেলায় প্রতিদিন করে ১.৫ থেকে ২ কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়। তবে দোল এবং হোলির কারণে বিক্রি কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছিল। এমনকি সেটা ১০ কোটিতে পৌঁছেছে। উৎসবের আগে থেকেই মানুষ মদ কিনতে শুরু করেছিল।

পাশাপাশি মালদার এক মদের দোকানের কর্মী দেবু সাহা জানিয়েছেন, “সরকারের নিয়ম মেনে শুক্রবার ও শনিবার দুপুর ২টো পর্যন্ত দোকান বন্ধ ছিল। তবুও আমরা এত বেশি মদ বিক্রি করেছি, যেটা আমাদের প্রত্যাশা থেকে অনেকটাই বেশি ছিল। রমজান মাস না থাকলে এই বিক্রি আরো নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতো।”

READ MORE:  আঙুলের ছাপ ছাড়া আর দেওয়া যাবে না ভোট? Voter Id-র সাথে আধার লিঙ্কের প্রস্তুতি কমিশনের

আনন্দের মাঝে দায়িত্বশীলতা জরুরী!

উৎসবের আনন্দ সবারই প্রাপ্য। তবে দায়িত্বশীলতা বজায় রাখা সবার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। অতিরিক্ত মদ্যপান থেকে দুর্ঘটনা বা বিশৃঙ্খলাজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে, যা উৎসবের আনন্দ মাটি করে দিতে পারে। তাই উৎসবের আনন্দ দায়িত্বশীলতার সঙ্গে উদযাপন করা সবথেকে বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

Scroll to Top