প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: বিগত কয়েক মাসে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই তদন্তকারীদের নজরে এসেছে তাঁদের জাল পাসপোর্টগুলি (Fake Passport Case)। মোটা টাকার বিনিময়ে সীমান্ত এলাকাগুলিতে ভুয়ো নথি ব্যবহার করে বানানো এই পাসপোর্টগুলির মূল উৎস এবং যেসব এজেন্টরা এই কাজ করতেন, তাঁদেরকে মূলত স্ক্যানারের আওতায় নিয়ে আসা। তার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ED। তাই তো আজ নববর্ষের দিনেও সেই দুর্নীতির আখড়ার তদন্ত করতে ময়দানে নেমেছে গোয়েন্দা সংস্থা।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
নববর্ষের সকালে ED র হানা!
সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার, নববর্ষের সকালে রাজ্যের একাধিক জায়গায় চলছে ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তল্লাশি অভিযান চালানো শুরু করেছে। বিরাটি, বেকবাগান-সহ কলকাতা তথা রাজ্যের মোট ৮টি জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে করে তল্লাশি অভিযানে নামে তারা। পুরোদমে শুরু হল তল্লাশি অভিযান।
কলকাতা থেকে উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়ার গেদে সহ প্রায় ৮ থেকে ৯টি জায়গা চলছে তল্লাশি। অনুপ্রবেশকারীদেরকে জাল পাসপোর্ট তৈরি করে, এরকম বেশ কিছু এজেন্টের বাড়িতেও চলছে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে অভিযান। সূত্রের খবর, এই ভুয়ো পাসপোর্ট মামলায় আন্তর্জাতিক সংস্থার যোগ রয়েছে বলেও মনে করছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। পাশাপাশি, বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথির খবর পেয়েছে তাঁরা।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
পাসপোর্ট কাণ্ডে গ্রেফতার প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিক!
গত বছরের শেষে ভুয়ো নথি দাখিল করে পাসপোর্ট তৈরির বিষয়টি প্রথম প্রকাশ্যে আসে। আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে প্রাথমিক ভাবে পাসপোর্ট তৈরির একটি চক্রের কথা জানতে পারে কলকাতা পুলিশ। সেই সময় পাসপোর্ট কাণ্ডে চার্জশিট জমা দিল লালবাজারের গোয়েন্দা দফতর। ১৩০ পাতার চার্জশিটে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত ১৩০ জনের মধ্যে ১২০ জনই বাংলাদেশি। তাঁদের সকলকেই পলাতক বলে উল্লেখ করা হয়েছে। একে একে গ্রেফতার হন দশ জন। তাঁদের মধ্যে এক জন প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিক এবং ডাক বিভাগের দু’জন কর্মীও রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত বছর ২৭ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর থানায় প্রথম জাল পাসপোর্টের অভিযোগটি দায়ের হয়েছিল। তখনঅভিযুক্ত হিসেবে উঠে এসেছিল মোট ৩৭ জনের নাম। এই চক্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে ভুয়ো নথি জমা দিয়ে ভারতীয় পাসপোর্ট তৈরি করাতেন তাঁরা। এর পরেই বিশেষ দল গঠন করে শুরু হয় তদন্ত। পরবর্তীতে এই মামলার তদন্তভার কলকাতা পুলিশের পাশাপাশি চলে যায় ইডির কাঁধে। আর তাতেই একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে।