প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: এসএসসি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল হয়ে যাওয়ার কারণে রাতারাতি প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি চলে গিয়েছে। যার জেরে স্কুলে স্কুলে এখন শিক্ষক সঙ্কট দেখা গিয়েছে। যেই স্কুলে আগে ২০ জন শিক্ষক ছিল এখন সেখানে জনা পাঁচেক শিক্ষক রয়েছে। যদিও আইনের প্রতি ভরসা রাখার নিদান দিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এই পরিস্থিতিতে কী ভাবে স্কুল চালানো হবে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্য। হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রধান শিক্ষকদের। আর সেই কারণেই পর্ষদের তরফে প্রার্থীদের পুনরায় নিয়োগ করার আর্জি জানানো হয়েছিল। এবার সেই নিয়ে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ নিয়ে মুখ খুললেন মমতা!
অবশেষে গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সেই আবেদনের শুনানি হল সুপ্রিম কোর্টে। এবং রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার এহেন পরিণতি দেখে বড় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ। জানানো হয়েছে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চাকরি করতে পারবেন রাজ্যের ‘যোগ্য’ চাকরিহারা শিক্ষকরা, অর্থাৎ ২৬ হাজার শিক্ষকদের মধ্যে যাঁদের ‘অযোগ্য’ বলে শনাক্ত করা গেছে, তাঁদের বাদ দিয়ে বাকিরা আপাতত চাকরিতে বহাল থাকবেন। পাশাপাশি রাজ্যকে ৩১ মে-র মধ্যে যোগ্যদের বাছাই করার নতুন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে। আদালতের এই নির্দেশে আপাতত স্বস্তি পেলেও সন্তুষ্ট হতে পারছেন না চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সকলে। কিন্তু এদিকে স্বস্তির বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শীর্ষ আদালতের নির্দেশে স্বস্তি ফিরল রাজ্যে!
এদিন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সামনে আসার পরেই নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আপাতত স্বস্তি। তাঁদের বেতনের বিষয়ে আমরা চিন্তা করছিলাম, কীভাবে দেওয়া যায়। কারণ আগেরবার বলা হয়েছিল বেতন দেওয়া যাবে না। তাই আমরা বেতন নিয়ে বিকল্প পথের সন্ধান করছিলাম। কথা দিয়েছিলাম, যাতে ওদের কোনও অসুবিধে না হয়। ডিসেম্বর পর্যন্ত আমরা সময় পেয়েছি।‘ এছাড়াও তিনি বলেন, ‘আমি খুশি, আপাতত একটা সময় আমরা পেয়েছি। শিক্ষকরা বেতন পাবেন যথাসময়ে। মানুষের কাজে আমরা কোনও ভুল করি না। কারও কথায় এবং প্ররোচনায় কখনোই পা দেওয়ার দরকার নেই।”
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
অন্যদিকে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অনুরোধ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মন দিয়ে কাজ করুন। চিন্তা করবেন না। আমরা আমাদের সমব্যথী, সহসাথী। আপনাদের বেদনায় আমাদেরও বেদনা।” তবে শিক্ষকরা আপাতত কাজ চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেলেও, শিক্ষাকর্মীদের নিয়ে কোনো নয়া নির্দেশ দেয়নি শীর্ষ আদালত। কী হবে জানতে চাইলে মমতা বলেন, “আমাদের যা করণীয় করব। আমার উপর ছেড়ে দিন বিষয়টা। আমাদের আইনজীবীদের দিল্লি থেকে আসতে দিন। ওঁদের সঙ্গে বসব, কথা বলব। আইনের প্রতি ভরসা রাখুন, আমাদের উপর বিশ্বাস রাখুন। ধৈর্য ধরুন, অপেক্ষা করুন।”
এদিন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও সুপ্রিম কোর্টের রায় প্রসঙ্গে বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছে তাতে আপদকালীন একটা স্বস্তি পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু এই স্বস্তি সাময়িক। এটা আমাদের কাছে আশাব্যঞ্জক একটি খবর।”
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।