শ্বেতা মিত্র, কলকাতা: ভারত থেকে পালিয়েও নিস্তার নেই ললিত মোদীর (Lalit Modi)। আইপিএলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান আর্থিক অনিয়মের দায়ে অভিযুক্ত। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, ভানুয়াতু নামের একটি ছোট দ্বীপ রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব নিয়েছিলেন ললিত মোদী। সেই নাগরিকত্বও দেশটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে খবর। এহেন পরিস্থিতিতে ঘরে বাইরে দু’দিকেই উভয় সংকটে পড়েছেন তিনি।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
ফের বিপাকে ললিত মোদী
খবরে প্রকাশ, বিদেশ মন্ত্রক নিশ্চিত করেছে যে ললিত মোদী পাসপোর্ট সমর্পণের জন্য আবেদন করেছেন। ২০১০ সালে ভারত থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর ললিত মোদী লন্ডনে বসবাস করছিলেন। এরপর একাধিকবার নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন। যদি তাতে পোক্ত কোনো প্রমাণ ছিল না বলেই মনে করা হয়।
ভারতীয় পাসপোর্ট জমা দেওয়ার পর জানা যায় যে তিনি প্রশান্ত মহাসাগরের একটি দ্বীপ দেশ ভানুয়াতুর নাগরিকত্ব নিয়েছেন। এই দ্বীপ দেশটি ভানুয়াতু ধনী ব্যক্তিদের দেশের নাগরিকত্ব কিনতে অনুমতি দেয়। সেখান থেকে মাত্র ১.৩ কোটি টাকা খরচ করে পাসপোর্ট পাওয়া যায়। এখন খবরে বলা হয়েছে যে ভানুয়াতুর প্রধানমন্ত্রী তাঁর নাগরিকত্ব কমিশনকে ললিত মোদীর পাসপোর্ট বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছেন।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের
সে দেশের প্রধানমন্ত্রী হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্ত নিলেন সেটা অবশ্য স্পষ্ট নয়। অনুমান করা হচ্ছে এই সিদ্ধান্তের পিছনে ভারতের চাপ থাকতে পারে। মিডিয়া রিপোর্টে এও দাবি করা হচ্ছে যে ভারতের চাপের পরেই প্রশাসন ললিত মোদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে ললিত মোদীর পাসপোর্ট বাতিল করার ক্ষেত্রে নিউজিল্যান্ডে ভারতের হাইকমিশনার নীতা ভূষণের বড় ভূমিকা ছিল।
ভানুয়াতু ললিত মোদীর কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত ছিল না বলেও মনে করা হচ্ছে। ললিত যে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন, সেটা বোঝার পরেই হয়তো নাগরিকত্ব বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।