বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ট্রেন আছে, যাত্রীরাও যাতায়াত করেন নিয়মিত, টিকিট কাউন্টার যে নেই তেমনটাও নয়! তবে পাওয়া যায় না কোনও টিকিট। হ্যাঁ, ভারতে এমন এক স্টেশন (Railway Station) রয়েছে যেখানে প্রতিদিন নিয়ম করে বহু দুরপাল্লার ট্রেন দাঁড়ায়, প্রতিদিন কমপক্ষে হাজার জনেরও বেশি যাত্রী যাতায়াত করন এই স্টেশন দিয়েই। তবে টিকিট কাটতে হলে যেতে হয় অন্য স্টেশনে! কী আজব তাই না? আজব হলেও প্রতিদিন এমন ঘটনারই ভুক্তভোগী বহু মানুষ। কোথায় রয়েছে সেই স্টেশন? জানব।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
ভারতের আজব স্টেশন
বিহারের চাপড়া-বালিয়া ডিভিশনে রয়েছে সেই স্টেশন, যেখানে কাউন্টার থাকলেও অন্য স্টেশন থেকে টিকিট কাটতে হয় যাত্রীদের। বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, বিহারের এই স্টেশনে টিকিট কাউন্টার না থাকায় প্রতিদিন বহু যাত্রী একেবারে বিনা টিকিটে ট্রেনে যাত্রা করেন। যার কারণে বহুবার টিটির হয়রানির শিকার হতে হয়েছে তাদের। শুধু তাই নয়, ব্যস্ততার মাঝে টিকিট ছাড়া ট্রেনে ওঠায় জেল পর্যন্ত হয়েছে অনেকেই। নিশ্চই জানতে ইচ্ছে করছে বিহারের কোথায় রয়েছে সেই অদ্ভুত স্টেশন?
জানিয়ে রাখি, বিহারের চাপড়া লাইনের মাঞ্জি রেলওয়ে স্টেশনে কোনও রকম টিকিট ছাড়াই যাতায়াত করেন যাত্রীরা! 2023 সালের জানুয়ারিতে এই স্টেশনটির উদ্বোধন করেছিল ভারতীয় রেল। উদ্বোধনের আগে স্টেশনের যাবতীয় কাজকর্ম শেষ হয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী তৈরি হয়েছিল টিকিট কাউন্টারও। তবে আশ্চর্যের বিষয়, টিকিট কাউন্টার থাকলেও সেখানে টিকিট পাওয়া যায় না। যার কারণে প্রতিদিন যথেষ্ট ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বিহারের ওই ডিভিশনের যাত্রীদের। জানা যাচ্ছে, মাঞ্জি স্টেশনটি মূলত নর্থ ইস্টার্ন রেলওয়ের অধীনে।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
স্থানীয়দের বক্তব্য
সম্প্রতি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিহারের মাঞ্জি স্টেশন চত্বরের বাসিন্দা থেকে শুরু করে নিত্যযাত্রীরা জানিয়েছেন, 2023 সালে স্টেশনটি তৈরি করা হয়েছিল। উদ্বোধনও হয়েছে একই সময়ে। তবে উদ্বোধনের এত বছর পরও স্টেশনটিতে টিকিট বিক্রি শুরু হয়নি। স্থানীয়দের বক্তব্য, সেখানে টিকিট কাউন্টার আছে ঠিকই, তবে তা নাকি কোনও কাজের নয়।
মাঞ্জি স্টেশনের বেশ কয়েকজন যাত্রী জানিয়েছেন, টিকিটের সমস্যা থাকায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে একটি লিখিত আবেদনও জানানো হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব স্টেশনে টিকিট বিক্রি শুরু হোক, এই দাবি রেখেই রেলের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের কাছে ওই চিঠিটি পাঠিয়েছেন নিত্য যাত্রীরা। তবে রেলের তরফে নাকি কোনও রকম সুরাহা মেলেনি।
অবশ্যই পড়ুন: উদ্বোধন হয়ে গেল ভারত-ভুটান কানেক্টিভিটি, মাঝে লাভের গুড় খাবে বাংলাদেশ?
কেন টিকিট বিক্রি শুরু করা যাচ্ছে না?
বেশ কয়েকটি সূত্র মারফত খবর, যাত্রীদের চাপে পড়ে রেল কর্মীরা তাঁদের ওপর মহলের কাছে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। তবে খোঁজ নিয়ে যা জানা গেল, রেল কর্মীদের বক্তব্য শোনার পর বিষয়টি নিয়ে ভাবনা চিন্তা করছেন রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। তবে ঊর্ধ্বতন কর্তাদের পক্ষ থেকে সবুজ সংকেত না পাওয়ায় এখনও পর্যন্ত মাঞ্জি স্টেশনে টিকিট বিক্রির কাজ শুরু করা যায়নি।