কেন্দ্র সরকার ২০২২ সালের বিদ্যুৎ বিল সংসদে উপস্থাপন করেছে, যা বর্তমানে বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির বিচারাধীন রয়েছে। এই বিল নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার এবং সাধারণ গ্রাহকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠছে, এই বিল আইনে পরিণত হলে রাজ্যগুলির বিদ্যুৎ সংক্রান্ত ক্ষমতা নাকি কমে যাবে এবং সাধারণ মানুষের উপর অতিরিক্ত আর্থিক বোঝা চাপবে।
নতুন বিদ্যুৎ বিল নিয়ে বিক্ষোভ
এমন পরিস্থিতিতে অল ইন্ডিয়া ইলেকট্রিসিটি কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন মঙ্গলবার দিল্লীতে একটি বিক্ষোভ করে। সংগঠনটি দাবি করে, কেন্দ্রীয় সরকার যে নতুন বিল আনছে তা বিদ্যুৎ পরিষেবাকে সম্পূর্ণ বেসরকারি খাতে নিয়ে যাবে। এতে সাধারণ মানুষ বিপাকে পড়বেন। কারণ বিদ্যুতের দাম আরও বেড়ে যাবে এবং বেসরকারি সংস্থাগুলির হাতে পরিষেবা যাওয়ার ফলে গ্রাহকদের উপর বিদ্যুৎ বিলের চাপ বাড়বে।
কী বলছে বিদ্যুৎ গ্রাহক সংগঠন?
সংগঠন অফিসের সম্পাদক সুব্রত বিশ্বাস বলেছেন, নয়া বিদ্যুৎ বিল কার্যকর হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে সাধারণ মানুষ। রাজ্য সরকারগুলির বিদ্যুৎ বন্টনের ক্ষমতা কমে যাবে এবং ভর্তুকি দেওয়ার সুযোগও সীমিত হয়ে যাবে। এর ফলে কোটি কোটি গ্রাহকের উপর বিদ্যুতের বিল বেড়ে যাবে।
স্মার্ট মিটার নিয়ে প্রশ্ন
বিদ্যুৎ বিলে স্মার্ট মিটার বসানোর যে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। বিদ্যুৎ সংগঠনের মতে, স্মার্ট মিটারের সঠিক পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে এবং এটি সাধারণ মানুষের জন্য নানারকম সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
এই বিল কার্যকর হলে রাজ্যের আওতাধীন বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থাগুলি আর্থিকভাবে আরো দুর্বল হয়ে পড়বে। ফলে বিদ্যুৎ পরিষেবার মান কমতে পারে এবং সাধারণ গ্রাহকরা বিলের বোঝায় আরও সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে।