মোবাইল ফোনের দিন ফুরিয়ে এল, জুকারবার্গ চালু করছে নতুন প্রযুক্তি

মোবাইল ফোন দৈনন্দিন জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। আমরা প্রায় সবকিছুর জন্যই এগুলো ব্যবহার করি, কল করা এবং টেক্সট করা থেকে শুরু করে ইন্টারনেট ব্রাউজ করাও। কিন্তু মেটা (পূর্বে ফেসবুক) এর প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গের মতে, শীঘ্রই এই পরিস্থিতির পরিবর্তন হতে পারে। তিনি বিশ্বাস করেন যে আগামী ১০ বছরের মধ্যে মোবাইল ফোনের আর প্রয়োজন হবে না। পরিবর্তে, স্মার্ট চশমা এর জায়গা দখল করবে।

জুকারবার্গ ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে অদূর ভবিষ্যতে, মোবাইল ফোন অতীত হয়ে যাবে, প্রায় জাদুঘরের একটি নিদর্শনের মতো। পৃথিবী এতটাই ডিজিটাল হয়ে যাবে যে আমরা প্রযুক্তির সাথে যেভাবে যোগাযোগ করি তা সম্পূর্ণ ভিন্ন হবে। স্মার্ট চশমা হবে যোগাযোগ, বিনোদন এবং কাজের জন্য নতুন হাতিয়ার।

READ MORE:  এবার গ্রাহকদের চমক দিল জিও, এত কম দামে এরকম সুবিধা কেউ দিতে পারবে না

কীভাবে মোবাইলের জায়গা নেবে স্মার্ট চশমা?

এই স্মার্ট চশমাগুলি মুখে পরানো হবে এবং আপনার চোখের সামনে তথ্য প্রদর্শন করার ক্ষমতা থাকবে। কল্পনা করুন যে আপনার ফোনটি কোনও কিছুর জন্য বের করার দরকার নেই কারণ আপনার যা কিছু প্রয়োজন তা চশমার মাধ্যমে আপনি দেখতে পাবেন। আপনি ফোন স্পর্শ না করেই কল করতে, মেসেজ পাঠাতে, সোশ্যাল মিডিয়া চেক করতে এবং এমনকি আরও অনেক কিছু করতে পারেন।

READ MORE:  সরকারের নতুন প্রকল্প, প্রত্যেক মহিলা পাবে মাসে ২৫০০ টাকা

এই স্মার্ট চশমার পেছনের প্রযুক্তি ইতিমধ্যেই উন্নয়নের পর্যায়ে রয়েছে। মেটা এবং অ্যাপলের মতো বড় কোম্পানিগুলি এই চশমা তৈরির জন্য একসাথে কাজ করছে। তাদের লক্ষ্য হল চশমাগুলিকে হালকা এবং প্রতিদিন, সারাদিন পরার জন্য যথেষ্ট আরামদায়ক করে তোলা। চশমাগুলি ডিজিটালি চালিত হবে এবং আপনার যা কিছু প্রয়োজন তা এগুলি থেকেই পরিচালনা করা যাবে। ফোন ধরার পরিবর্তে, আপনাকে কেবল স্মার্ট চশমাগুলি দেখতে হবে।

READ MORE:  ভারতে বন্ধ হচ্ছে রয়্যাল এনফিল্ড, বাইকপ্রেমীদের জন্যে বড় ধাক্কা

চশমাগুলিতে বিল্ট-ইন হেডফোনও থাকবে, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি কল রিসিভ করতে বা গান শুনতে পারবেন। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি একটি কল পান, তাহলে আপনি আপনার সামনে প্রদর্শিত ফোন নম্বরটি দেখতে সক্ষম হবেন। এবং একটি সাধারণ ভয়েস কমান্ড বা ক্লিকের মাধ্যমে, আপনি কলটির উত্তর দিতে বা অন্যান্য কাজ করতে পারবেন।

বলা বাহুল্য, স্মার্ট চশমার জন্য জুকারবার্গের দৃষ্টিভঙ্গি কেবল একটি ভবিষ্যত স্বপ্ন নয়। উন্নয়ন ইতিমধ্যেই ঘটছে, এবং কয়েক বছরের মধ্যে, এই প্রযুক্তি আমাদের চারপাশের বিশ্বের সাথে যোগাযোগের উপায় পরিবর্তন করতে পারে।