লেটেস্ট খবর অটোকার আবহাওয়া খাওয়া -দাওয়া খেলা গ্যাজেট চাকরি জীবনযাপন জ্যোতিষ টেলিকম নিউজ প্রযুক্তি বিনোদন মোবাইল রাশিফল সৌন্দর্য স্কিমস স্বাস্থ্য ও ফিটনেস

লক্ষ্মীর ভান্ডারে জালিয়াতি, পার্বতীর মত আপনার টাকাও অন্যের অ্যাকাউন্টে ঢুকছে না তো?

Published on:

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প বহু মহিলাদের জন্য আর্থিক সুরক্ষায় বড় অবদান রাখে। তবে সম্প্রতি পুরুলিয়ার চিপিদা-ভান্ডারপুয়ারা গ্রামে এক চাঞ্চল্যকার জালিয়াতির ঘটনা সামনে এসেছে এই প্রকল্প নিয়ে।

প্রকল্পের আওতায় নাম নথিভুক্ত করার চেষ্টা করেও পার্বতী রজক বছরের পর বছর এই প্রকল্পের টাকা নাকি পাচ্ছেনা। অথচ খোঁজ নিয়ে দেখা গেল তার নামে বরাদ্দ অর্থ পাঠানো হচ্ছে অন্য মহিলার ব্যাংক একাউন্টে। 

এই ঘটনার জন্য ব্লক প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে কার্যত প্রশ্ন উঠছে। পার্বতি রজকের আবেদন থাকা সত্ত্বেও কীভাবে তার টাকা পদ্মা রজক নামে অন্য মহিলার ব্যাংক একাউন্টে ঢুকছিল? স্থানীয় প্রশাসন এই নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করে দিয়েছে।

৩ বছর ধরে টাকা ঢুকছে অন্যের একাউন্টে

২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে আবেদন করেছিলেন পার্বতী রজক। কিন্তু তার আবেদন নথিভুক্ত হয়নি। এমনকি ২০২৪ সাল পর্যন্ত তিনি বিভিন্ন ক্যাম্পে গিয়ে আবেদন করলেও এই প্রকল্পের সুবিধা পাননি। 

READ MORE:  Low Investment Business: সারা বছর থাকে আকাশছোঁয়া চাহিদা! ১৫ হাজার দিয়ে এই ব্যবসা শুরু করলে মাস আয় হবে ৪০ হাজার | Broom Business

২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে ফের তিনি আবেদন করতে গেলে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে উঠে আসে। ব্লক অফিস থেকে জানানো হয় তার নামে বরাদ্দ লক্ষীর ভান্ডারের টাকা কার্যত অন্য একটি ব্যাংক একাউন্টে জমা হচ্ছে। কিন্তু সমস্যাটি হল ব্যাংক অ্যাকাউন্টটি তার নয়। 

তাহলে কার একাউন্টে জমা হচ্ছে টাকা?

পার্বতী রজক নিজে বিষয়টি খতিয়ে দেখেন। এরপর বোঝা যায় তার নামে যে টাকা বরাদ্দ হয়েছে তা একটি সম্পূর্ণ ভিন্ন একাউন্টে জমা হচ্ছে, যার মালিক পদ্মা রজক নামের অন্য এক মহিলা। 

কিন্তু গ্রামের মানুষ জানাচ্ছেন অই গ্রামে পদ্মা রজক নামে অন্য কেউ থাকে না। এখন প্রশ্ন হল তাহলে এই ব্যাংক অ্যাকাউন্টটি কার? কীভাবে পার্বতীর আবেদনপত্রের সঙ্গে অন্য কারোর ব্যাংক একাউন্ট যুক্ত হয়ে গেল।

READ MORE:  RBI Repo Rate: এপ্রিলেই মধ্যবিত্তদের বিরাট স্বস্তি দিতে পারে RBI | Reserve Bank Of India

ব্লক অফিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

সরকারি প্রকল্পের টাকা সুবিধাভোগীদের ব্যাংক একাউন্টে পাঠানোর দায়িত্ব ব্লক অফিসের। তাহলে কি ব্লক অফিসের কোন কর্মীর কারসাজিতে এই জালিয়াতি হচ্ছে? গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বলেন, “এটি স্পষ্টভাবে সুপরিকল্পিত একটি জালিয়াতি। গ্রামের কেউ পদ্মা রজক নামে কাউকে চেনে না। অথচ তার নামে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে টাকা ঢুকে যাচ্ছে।”

টাকা ফেরত পাবেন পার্বতী?

এই জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়ার পরে প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বিডিও জানিয়েছেন, পার্বতী রজকের আধার নাম্বার দিয়ে অন্য মহিলার ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠানো হচ্ছিল। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হয়েছে এবং ভুল একাউন্টে টাকা পাঠানো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন নতুনভাবে পার্বতী রজক আবার আবেদন করতে পারবেন এবং প্রকৃত সুবিধাভোগী হিসেবে তিনিই টাকা পাবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন প্রশাসন। 

READ MORE:  Waqf Property: ভারত না পাকিস্তান, কোন দেশের কাছে ওয়াকফ সম্পত্তি বেশি? পরিসংখ্যান চমকে দেবে | India-Pakistan Waqf Property

আপনার টাকাও ভুল অ্যাকাউন্টে যাচ্ছে না তো? 

এই ধরনের ঘটনা শুধু পার্বতী রজকের ক্ষেত্রে ঘটেনি। অনেক মানুষের অজান্তেই তাদের প্রাপ্য টাকা অন্য কারোর ব্যাংক একাউন্টে চলে যাচ্ছে। আপনার সাথে এমনটা হবে না তার কি গ্যারান্টি আছে?

তাই আপনার লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা ঠিকমতো ব্যাংক একাউন্টে ঢুকছে খেলা সেটি নিয়মিত চেক করতে হবে। যদি কোনরকম সন্দেহ থাকে তাহলে তৎক্ষণাৎ ব্লক অফিসে যোগাযোগ করুন। ব্যাংক স্টেটমেন্ট নিয়মিত চেক করুন, যাতে কোন রকম অনিয়ম হলেই ধরা পড়ে।

About Author
Oindrila Sen

Oidrila Graduated in Masscom from Delhi Univercity, and Works as Content Curator at Kolkata Trend. Curate Content in various category like Bengali News, Entertainment, Tech Update, Lifestyle Update, Celebrity Gossip, Crypto Currency, Job Update and Many More.