শ্বেতা মিত্র, কলকাতা: বাড়ির ছেলেমেয়েদের স্কুলে ভর্তি করানোর আগে বারবার ভাবতে হচ্ছে অভিভাবকদের। কারণ, ফি। কিছু বেসরকারি স্কুলে ফি এতটাই বেশি যে সেখানে সাধারণ মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেমেয়েদের ভর্তি করানো কার্যত আর সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু এই স্কুল ফি এত বেশি কেন, এক্ষেত্রে কি রাজ্য সরকার কোনো পদক্ষেপ নিতে পারে না?
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
ফের প্রশ্নের মুখে শিক্ষা ব্যবস্থা!
শিক্ষাব্যবস্থায় ফি বৃদ্ধি প্রসঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতির প্রশ্নের মুখে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আদালতের প্রশ্নের জবাবে রাজ্যের প্রতিনিধি যে উত্তর দিয়েছিলেন, তাতে সন্তুষ্ট হননি বিচারপতি, ছুঁড়ে দিয়েছেন পাল্টা প্রশ্ন। বেসরকারি স্কুলে অস্বাভাবিক ফি বৃদ্ধি নিয়ে তিনটি প্রথম সারির স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবক সংগঠন আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে।
এই মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেছেন, “একটা বেসিক ফি রাখা করা উচিৎ। অনেক স্কুলে এটা বাড়তি আয়ের জায়গা। এই রাজ্যে অনেক বেসরকারি স্কুলে স্কুল ফি বৃদ্ধি নিয়ে অনেক আবেদন জমা পড়েছে। এই রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে রাজ্যের কিছু নিয়ম দরকার।”
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
একের পর এক প্রশ্নবাণ আদালতের
এরপরেই বিচারপতি প্রশ্ন তুলেছেন, “অনেক ক্ষেত্রে ‘চার্জ’ নামে যে ‘ফি’ বৃদ্ধি হচ্ছে সেটা অন্যায্য। এটার উপর কি কন্ট্রোল থাকবে না?” বিচারপতি বসুর এই প্রশ্নের জবাবে রাজ্যের পক্ষের আইনজীবী বিশ্বব্রত বসু মল্লিক জানিয়েছেন , “এই শিক্ষা সংক্রান্ত বিল এক বছরের বেশি সময় ধরে রাজ্যপালের কাছে পড়ে রয়েছে। যেহেতু রাজ্যপাল ছাড়েননি, সেজন্য সরকারও কোনও পদক্ষেপ। নিতে পারছে না। রাজ্যপাল এটা ছেড়ে দিলে বৃহত্তর মানুষের উপকার হয়।”
এই যুক্তি অবশ্য বিচারপতিকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি। বিচারপতি বসু পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন, “এ ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী কেন কিছু ভাবছেন না?” তখন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত আদালতে উপস্থিত হয়ে বলেন, “আগামী শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে রাজ্যের অবস্থান জানানো হবে।”