প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে গত ৩ এপ্রিল এসএসসি (SSC) মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে মান্যতা দিয়ে ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দেয়। যার ফলে ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি চলে গিয়েছে। এদিকে বেহাল দশা রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থার। তাই সেই কথা মাথায় রেখে সুপ্রিম কোর্টে বিশেষ আবেদন জানিয়েছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। আর্জি ছিল, যাঁরা ‘টেন্টেড’ বা ‘অযোগ্য হিসাবে চিহ্নিত’ নন, আপাতত তাঁদের চাকরি বহাল থাক। এবার সেই পরিপ্রেক্ষিতেই শিক্ষকদের বহাল রাখার রায় দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
চাকরিহারা শিক্ষাকর্মীদের মিছিল আটকে দেয় পুলিশ
গত বৃহস্পতিবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের মামলার রায়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরিহারা শিক্ষকেরা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজ্য সরকার পোষিত এবং সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে পড়াতে পারবেন। কিন্তু গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি-র শিক্ষাকর্মীদের জন্য কোনো নয়া নির্দেশ আরোপ করেনি সুপ্রিম কোর্ট। অর্থাৎ পুরোনো নিদের্শই তাঁদের ক্ষেত্রে বহাল রাখা হচ্ছে। আর তাতেই ক্ষুব্ধ শিক্ষাকর্মীদের সংগঠন। এই ইস্যুতেই গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে দেখা করতে যান শিক্ষাকর্মী সংগঠনের প্রতিনিধি দল। সূত্রের খবর, গতকাল দুপুরে গ্রুপ ডি এবং গ্রুপ সি শিক্ষাকর্মীরা পার্কসার্কাস ময়দানে জড়ো হয়ে মিছিল করছিল তৃণমূল ভবনের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার জন্য। সেই সময় বাইপাসের সামনেই তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। এবং সাত জন প্রতিনিধির একটি দল তৃণমূল ভবনে গিয়ে ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বৈঠকে বসে।
শিক্ষাকর্মীদের আইনি আশ্বাস ব্রাত্যের!
তৃণমূল ভবনে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ব্রাত্য বসুর সঙ্গে শিক্ষাকর্মীদের বৈঠক চলে। এদিন সেই বৈঠকে সংগঠনের প্রতিনিধিদের দলে ছিলেন শিক্ষাকর্মী সুজয় সর্দার। তিনি বলেন, ‘‘স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ শিক্ষকদের বাঁচাতে শিক্ষাকর্মীদের বলি দিতে চাইছেন। সরকার আমাদের হয়ে একই পথে লড়াই না-করলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটব।’’ তার পরেই শিক্ষাকর্মীদের তরফে ব্রাত্যের আশ্বাসের কথা জানানো হয়। এদিন বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন যে দু’-এক দিন পর থেকে রাজ্য সরকার ফের আইনি প্রক্রিয়া শুরু করা হচ্ছে। এবার শিক্ষাকর্মীদের নিয়ে আবেদন জানানো হবে বলেই জানানো হয়েছে।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
এদিন বৈঠকে শেষে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, ‘‘আমরা আগেই জানিয়েছি যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা ২১ তারিখের মধ্যেই প্রকাশ করব। সেটাই অনুসরণ করছি। অন্যদিকে আইনি সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে শিক্ষাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এর বাইরে বেশি কিছু বলার নেই।’’ অন্যদিকে আবার তৃণমূল ভবনের বাইরে শিক্ষাকর্মীদের আরও একদলকে কার্যত ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়। ব্রাত্য বসু অবশ্য পরে তাঁদের সঙ্গে কথা বলে আলাদা করে দেখা করবেন বলে আশ্বাস দেন। কিন্তু ওই চাকরিহারা প্রতিনিধি দলের দাবি, ‘অযোগ্য’ বলে দাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে তাঁদের! এমনকি শিক্ষাকর্মী সংগঠনের মধ্যে ভাগাভাগি চলছে। এমনকি কেউ কেউ চিৎকার করে অন্যদের দাবিয়ে রাখতে চাইছে।
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।