সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ডিম বলুন বা মাংস (Egg And Chicken), আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যেন অপরিহার্য এই দুটি খাবার। কিন্তু কল্পনা করুন তো, সকালে উঠে দেখলেন যে বাজারে আর কোন ডিম এবং মুরগি বিক্রি হচ্ছে না। হ্যাঁ, এমনই দিন ঘনিয়ে আসতে চলেছে ইউনূসের দেশে। আসলে পোল্ট্রি খাতে দীর্ঘদিনের লোকসান ও সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম আর সরকারের মুখে কুলুপ এঁটে থাকা থেকে বাঁচতে এবার এই বড়সড় সিদ্ধান্তের পথে হেটেছে দেশের পোল্ট্রি খামারের মালিকরা। ঘোষণা করা হয়েছে যে, আগামী 1লা মে থেকে দেশজুড়ে ডিম এবং মুরগি উৎপাদন বন্ধ থাকবে।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
কেন এরকম সিদ্ধান্ত?
সম্প্রতি বাংলাদেশের পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, দেশের খামারের মালিকরা বর্তমানে ভয়াবহ লোকসানের মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছে। ঈদের আগে গোটা রমজান মাস ধরে বাজারে সিন্ডিকেটের কারণে তারা ডিম এবং মাংসের ন্যায্য দামটুকু পায়নি। হিসাব বলছে, গত 2 মাসে পোল্ট্রি খাতে লোকসান হয়েছে প্রায় 1260 কোটি টাকা। আর শুধু মুরগি উৎপাদনেই 900 কোটি টাকার লোকসান। এমনকি ডিম বিক্রিতে হয়েছে 360 কোটি টাকার ক্ষতি।
হিসাব এও বলছে, প্রতি কেজি মুরগিতে 30 টাকা করে ক্ষতি হচ্ছে খামার মালিকদের। ডিমের ক্ষেত্রে সেই লোকসান দাঁড়াচ্ছে পিস প্রতি 2 টাকার কাছে। আর সংখ্যার হিসাব করলে প্রতিদিন উৎপাদিত 20 লক্ষ কেজি মুরগি আর 3 কোটি ডিমের পিছনে ক্ষতির অঙ্ক বিরাট জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছে।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের দাবি
খামারের মালিকরা কেবল উৎপাদন বন্ধ করেই থেমে থাকেনি। বরং তাদের পক্ষ থেকে কিছু দাবিও তুলে ধরা হয়েছে সরকারের কাছে। প্রথমত, পোল্ট্রি পণ্যের জন্য জাতীয় মূল্য নিয়ন্ত্রণ নীতির প্রত্যাবর্তনের দাবি তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া চুক্তিভিত্তিক খামারের কার্যক্রমে কঠোর আইনও নিয়ে আসার কথা বলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, পোল্ট্রি বাজার নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ গঠনের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। এখন দেখার পরিস্থিতি কতদূর গড়ায়।