পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জনপ্রিয় প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম হল লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প। রাজ্যের মহিলাদের আর্থিক স্বনির্ভরতা নিশ্চিত করার জন্য এই প্রকল্পটি বর্তমানে মহিলাদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয়। তবে এই প্রকল্পটি বর্তমানে বড় পরিবর্তনের মুখে পড়তে চলেছে।
সরকার জানিয়ে দিয়েছে, নির্দিষ্ট কিছু শর্ত না মানলে ১লা মার্চ, ২০২৫ থেকে এই প্রকল্পের টাকা পাওয়া যাবে না। তাই সুবিধাভোগী মহিলাদের অবশ্যই নতুন নিয়ম সম্পর্কে সচেতন থাকা অত্যন্ত জরুরী।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের মাসিক ভাতা
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের অধীনে পশ্চিমবঙ্গের মহিলারা প্রতি মাসে আর্থিক সহায়তা পান। এই প্রকল্পের আওতায় সাধারণ শ্রেণীর মহিলারা প্রতি মাসে ১০০০ টাকা ভাতা পান এবং তপশিলি জাতি ও তপশিলি উপজাতী শ্রেণীর মহিলারা প্রতি মাসে ১২০০ টাকা করে ভাতা পান।
লক্ষীর ভান্ডারের নতুন নিয়ম
রাজ্য সরকারের তরফ থেকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, এই প্রকল্পের টাকা পেতে হলে নির্দিষ্ট কয়েকটি শর্ত মানতে হবে। তা নাহলে সুবিধাভোগীরা এই প্রকল্পের টাকা আর পাবে না। সেই শর্তগুলি হল-
- কেবলমাত্র ২৫ বছর থেকে ৬০ বছর বয়সের মহিলারা লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।
- লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ভাতা পেতে হলে অবশ্যই মহিলাদের একক নামে ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে। যৌথ একাউন্ট থাকলে তারা এই প্রকল্পের টাকা পাবেন না।
- যে সমস্ত মহিলার ব্যাংক একাউন্টের সঙ্গে আধার কার্ড লিঙ্ক করা নেই তারা এই প্রকল্পের টাকা আর পাবেন না।
- যে সমস্ত মহিলার ব্যাংকে কেওয়াইসি আপডেট করা নেই, তারাও এই প্রকল্পের টাকা পাবে না।
সাম্প্রতিক ট্যাব কেলেঙ্কারির ঘটনা সামনে আসার পর থেকে সুবিধাভোগীদের তথ্য পুনরায় যাচাই করা শুরু হয়েছে। তাই অবশ্যই সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট নথিপত্র আপডেট করতে হবে।
সুবিধাভোগীদের জন্য পরামর্শ
রাজ্য সরকারের এই নতুন নিয়ম কার্যকর হওয়ার আগে সুবিধাভোগী মহিলাদের উচিত নিজের ব্যাংক একাউন্ট চেক করা এবং নিশ্চিত করা যে, একাউন্টটি সিঙ্গেল অ্যাকাউন্ট নাকি যৌথ অ্যাকাউন্ট। এছাড়া আধার কার্ড সংযুক্ত হয়েছে কিনা এবং কেওয়াইসি আপডেট করা হয়েছে কিনা এগুলো চেক করা উচিত।
তাই সময় থাকতে অবশ্যই সমস্ত নথিপত্র হালনাগাদ করুন। নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চললেই লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের সুবিধা মহিলারা পাবেন। তাই ভাতা পেতে হলে ১লা মার্চ, ২০২৫ তারিখের আগে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।