১০ শতাংশ কম! মিড ডে মিলে নয়া নিয়ম বেঁধে দিল কেন্দ্র

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: রাজ্যে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে বিভিন্ন স্কুলে মিড-ডে মিল রান্নার অভিযোগ অনেক পুরোনো। বিভিন্ন জেলায় অস্বাস্থ্যকর মিড ডে মিল নিয়ে উঠে এসেছে একাধিক অভিযোগ। আর এই অভিযোগ জেলার দু’-একটি স্কুলের বিরুদ্ধে নয়, জেলার সিংহভাগ স্কুলেই স্বাস্থ্যবিধি না মেনে মিড-ডে মিল রান্না করা হয়। কখনও খাবারের মধ্যে টিকটিকি তো কখনও আবার খাবারের মধ্যে ইঁদুর মরা পড়ে রয়েছে। এইভাবে পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের কথা না ভেবে স্কুলগুলির এহেন গাফিলতিতে ক্ষুব্ধ অভিভাবক থেকে শিক্ষক সংগঠন। আর এই আবহে মিড-ডে মিল (Mid Day Meal Scheme)সংক্রান্ত নয়া পরামর্শ নিয়ে এল কেন্দ্রীয় শিক্ষা দফতর।


গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন

Join Now

তেল কমানোর নিদান কেন্দ্রের

সম্প্রতি ‘পরীক্ষা পে চর্চা ২০২৫’ এবং ‘মন কি বাত অনুষ্ঠানে’ প্রধানমন্ত্রী স্কুল পড়ুয়াদের ওজন বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ বা চিন্তা প্রকাশ করেছেন। কেন্দ্রের একটি সমীক্ষার পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে, ২০২২ সালে ৫ থেকে ১৯ বছর বয়সের স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে এক কোটি ২৯ লক্ষ পড়ুয়ার ওজন সাধারণের তুলনায় বেশি। সেখানে ১৯৯০ সালে মাত্র নয় লক্ষ স্কুল পড়ুয়ার ওজন বেশি ছিল। আসল কারণ খতিয়ে গিয়ে দেখা গেছে স্কুল পড়ুয়াদের খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনচর্যার কারণেই ওজন বাড়ছে। আর শহরের পড়ুয়াদের মধ্যেই এই বাড়তি ওজনের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। তাই সেই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে কেন্দ্রীয় শিক্ষা দফতর এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে যে, পড়ুয়াদের মিড-ডে মিল রান্নার সময়ে ভোজ্য তেলের ব্যবহার দশ শতাংশ কমাতে হবে।

READ MORE:  বাজারে কোটি কোটি টাকা ধার, শোধের নাম নেই! শোচনীয় অবস্থা রাজ্যের পরিবহন দফতরের

কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তিতে উঠে একাধিক প্রশ্ন!

এছাড়াও কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তিতে আর বলা হয়েছে যে, স্কুল স্তর থেকেই পড়ুয়াদের শারীর চর্চায় নজর দিতে হবে। এর জন্য স্কুলে নানা ধরনের সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানও করতে বলা হয়েছে। আমাদের দেশে যেহেতু অনেক পড়ুয়াই রয়েছে যারা মিড-ডে মিলের উপরে নির্ভর করে। তাই মিড-ডে মিলের রান্নাও করতে হবে স্বাস্থ্যকর ভাবে। তেল কমিয়ে দরকারে সেদ্ধ বা সেঁকা রান্নার উপর তাই কর দিতে হবে স্কুলগুলোকে। যদিও কেন্দ্রের এই নয়া ব্যবস্থা নিয়ে খুব একটা খুশি নয় শিক্ষক মহল। উঠছে একাধিক প্রশ্ন। কারণ তাঁদের মতে, আপাতত যতটুকু বরাদ্দ মিড-ডে মিলের রান্নায় ব্যবহার করা হচ্ছে, তাতে নুন আনতে তেল ফুরনোর মত দশা। তাই এই পরিস্থিতিতে বেশি তেলে মিড-ডে মিল রান্না কার্যত অসম্ভব।


বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে

Join Now

কী বলছে শিক্ষক মহল?

এই প্রসঙ্গে বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হাণ্ডার জানায়, ‘‘প্রাথমিকে মিড-ডে মিলে মাথাপিছু বরাদ্দ ৬ টাকা ১৯পয়সা। উচ্চ প্রাথমিকের মিড-ডে মিলের বরাদ্দ ৯ টাকা ২৯ পয়সা। সপ্তাহে এক দিন ডিম, এক দিন সয়াবিন, কোনও দিন ডাল, খিচুড়ি, তরকারি দেওয়ার কথা। কিন্তু এটুকু বরাদ্দে পুষ্টিটাই ঠিক মতো হয় না।’’ অর্থাৎ ঘুরে ফিরে সেই মিড ডে মিলের বরাদ্দ প্রসঙ্গই উঠে আসছে। মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির নেতা অনিমেষ হালদারও বলেন নির্দেশিকা মেনে স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের জন্য আগে দরকার উপযুক্ত বরাদ্দ। কারণ পড়ুয়াদের পুষ্টির দিকটারই অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত।

READ MORE:  একটানা চারদিন ছুটি, ফেব্রুয়ারিতে সরকারি কর্মীদের ‘হলিডে সারপ্রাইজ’ দিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার

রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।

Scroll to Top