প্রীতি পোদ্দার, নয়া দিল্লি: দীর্ঘদিনের সংগ্রামের অবসান হতে চলেছে আজ। অবশেষে মুম্বই হামলার মূলচক্রী লস্কর-ই-তোইবার জঙ্গি ৬৪ বছরের তাহাউর রানাকে (Tahawwur Rana Extradited) আজ, বুধবার ভারতে ফেরত আনা হচ্ছে। সে কারণে দিল্লি ও মুম্বইয়ের দুটি জেলকে গুছিয়ে রাখা হচ্ছে তাঁর আপ্যায়নের জন্য। ইতিমধ্যেই গত রবিবার এনআইএ-র আইজি পদমর্যাদার অফিসার আশিস বাটরা, ডিআইজি মর্যাদার জয়া রায় এবং একজন ডেপুটি এসপি পদমর্যাদার অফিসার সহ আরও তিন গোয়েন্দা অফিসার সারেন্ডার ওয়ারেন্ট হাতে পেয়ে আমেরিকা চলে গিয়েছেন। এখন শুধু কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
নজর রাখছেন অজিত দোভাল এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক
সূত্রের খবর, গতকাল অর্থাৎ বুধবার সন্ধ্যা ৭ টা ১০ মিনিটে NIA-এর টিম ২৬/১১ মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী তাহাউর রানাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। জানা যাচ্ছে আজ, বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের দিল্লিতে অবতরণ করার কথা। এবং দিল্লিতে পা রাখা মাত্র NIA তাহাউরকে অফিসিয়ালি গ্রেফতার করবে। ইতিমধ্যেই তিহাড় জেলে নিরাপত্তার বিশেষ ব্যবস্থাও করা হয়েছে রানাকে রাখার জন্য। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই মামলার শুনানি দিল্লিতে হবে, মুম্বই নিয়ে যাওয়া হবে না তাহাউরকে। তাহাউর রানাকে আমেরিকা থেকে ভারতে ফেরানোর পুরো কর্মকাণ্ডে নজর রাখছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। এছাড়াও নজরদারি চালাচ্ছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
বারংবার পিটিশন দাখিলেও শেষরক্ষা হল না
বিশেষ সূত্রে জন্য গিয়েছে আজ যদি ২৬/১১ মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী তাহাউর রানাকে দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টে পেশ করা হয় তাহলে, তা সম্পূর্ণ ভার্চুয়ালি করা হবে। যদি সেক্ষেত্রে ভার্চুয়ালি না হয় তাহলে সশরীরে তাহাউরকে পেশ করা হবে বিচারকের বাড়িতে কারণ মহাবীর জয়ন্তী উপলক্ষে আজ আদালত বন্ধ রয়েছে। উল্লেখ্য অনেকদিন ধরেই পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এবং কানাডার ব্যবসায়ী তাহাউর রানার প্রত্যর্পণ চেয়েছিল ভারত। কিন্তু বারবারই তাহাউর রানা আমেরিকার বিভিন্ন আদালতের দ্বারস্থ হয়ে ভারতে প্রত্যার্পণের প্রক্রিয়াকে আটকানোর চেষ্টা করেছে। ২০১৩ সালে তাকে ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা দেয় আমেরিকার আদালত। কিন্তু ২০২০ সালে স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে তাকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
এরপর আইনি লড়াইয়ের পরে গত ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আনুষ্ঠানিকভাবে রানার ভারতে প্রত্যর্পণের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে। গত বছরের আগস্ট মাসে ওয়াশিংটনের ফেডারেল আদালত জানিয়ে দেয় রানা ভারতের কাছে প্রত্যর্পণযোগ্য। কিন্তু সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে পালটা আবেদন করেছিল সে। রানার রিট পিটিশন খারিজ করে দিয়েছিল মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট। এরপর প্রত্যর্পণের নির্দেশে জরুরিভিত্তিক স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশান দাখিল করেছিল রানা। কিন্তু গত সোমবার সেই পিটিশনও খারিজ করে দেওয়া হয়। এখন শুধু তাঁর দেশে ফেরার সময়ের অপেক্ষা।